প্যারডি
১)
ছাড়ব না।।
ছাড়ব না, ছাড়ব না,
আমার আগে তোমায় আমি ছাড়ব না।
তুমি যদি ঢোক তবে ঘণ্টাখানেক কাটিয়ে দেবে।
না না না।।
অফিস যেতেই হবে আমায় আজ সকালে
দশটা থেকেই মিটিং আছে দেরি হলে
বস বলেছে করবে ফায়ার শুনবে না কো না না না।।
মিলবে না তো এক কাপ চা আটটার আগে,
ঘুমের ভানে দেখতে থাকো কে প্রথম জাগে।
তোমার আশায় থাকি নি তাই
নিজেই এখন চা বানিয়ে খাই,
সকল প্রয়াস বৃথা যেতে দেব না তো না, না, না।।
২)
ছলনা।।
সেই ভালো, সেই ভালো-
খাবারে যা হয় তা আনো।
খাইয়ে-দাইয়ে পরে খোঁটা দেবে,
এত ছলনাও যে জান।।
মোর থালা ভরে রেখেছ পান্তাভাত,
বুঝেছি তাতেই, কাটবে সারা রাত,
চাইনি তো বাটি-ভরা পরিপাটি
পোলাও কালিয়া সাজানো,
সেই ভালো, সেই ভালো।।
বুঝেছি তাতেই, কাটবে সারা রাত,
চাইনি তো বাটি-ভরা পরিপাটি
পোলাও কালিয়া সাজানো,
সেই ভালো, সেই ভালো।।
গোপনে দেখেছি তোমার ভায়েরা এলে টাকার খেলা,
ভেটকি ও খাসি আসে রাশি রাশি দেখেছি, দিনের বেলা।
তোমাতে আমাতে বন্ধ যে কথা
না'হলে শুধাতেম, এ টাকা পেলে কোথা,
জানি আছে পড়ে পকেট গভীরে
ফাঁকা মানিব্যাগ সাজানো।।
ভেটকি ও খাসি আসে রাশি রাশি দেখেছি, দিনের বেলা।
তোমাতে আমাতে বন্ধ যে কথা
না'হলে শুধাতেম, এ টাকা পেলে কোথা,
জানি আছে পড়ে পকেট গভীরে
ফাঁকা মানিব্যাগ সাজানো।।
৩)
বর্ষা-অমঙ্গল কাব্য।।
পাপের-শাপের মোচন ঘটুক বাদল গর্জনে।
হৃদয় আমার ফেলে মোটরকার, ওঠ জলযানে।।
অঝোর-ঝরন আগস্ট-মাসে, চাপে কেউ কভু ট্রামে কি বাসে
সাথে ফাউ, বিজলি উধাও, আছে কপালে কী কে জানে?।
হৃদয় আমার ফেলে মোটরকার, ওঠ জলযানে।।
অঝোর-ঝরন আগস্ট-মাসে, চাপে কেউ কভু ট্রামে কি বাসে
সাথে ফাউ, বিজলি উধাও, আছে কপালে কী কে জানে?।
কাঁদুক আকাশ, কাঁদুক বাতাস, কাঁদুক নিখিল ধরা,
ডুবুক বিশ্ব দেখে সে দৃশ্য নর্দমা কর্দম-ভরা।
পথ হল নদী জলে জলময়, সাঁতার কাটার ভাল এ সময়
মোটর ভোলাও, নৌকো চালাও, ভাসাও রে উজানে,
হৃদয় আমার এ দেশে বসেই ভেনিসের মজা নে।।
ডুবুক বিশ্ব দেখে সে দৃশ্য নর্দমা কর্দম-ভরা।
পথ হল নদী জলে জলময়, সাঁতার কাটার ভাল এ সময়
মোটর ভোলাও, নৌকো চালাও, ভাসাও রে উজানে,
হৃদয় আমার এ দেশে বসেই ভেনিসের মজা নে।।
৪)
শেষ ব্রকোলি।
(একটি করুণ-রসসিক্ত #প্যারডি)
(একটি করুণ-রসসিক্ত #প্যারডি)
আমার সবজি বাগানে
যবে প্রথম ধরে ব্রকোলি ,
তোমার লাগিয়া তখনি বন্ধু
রেখেছিনু কিছু তুলি।।
তখনও আসেনি মালী, সখা,
বেগুন ধরেছে খালি
এখানে-সেখানে দু-চারটে করে
ফুটেছে পেঁয়াজ কলি।।
এখনো পাতার রঙ
শুষেনি সব সি-ওটু এবং
ফুলে এখনও বসেনি অলি।
ও মোর সবুজ ব্রকোলি,
ও তোর গিয়েছে সকলই-
শুধু রঙ খানা রয়ে গেছে
তাও দিতে চাস কি রে বলি!!
যবে প্রথম ধরে ব্রকোলি ,
তোমার লাগিয়া তখনি বন্ধু
রেখেছিনু কিছু তুলি।।
তখনও আসেনি মালী, সখা,
বেগুন ধরেছে খালি
এখানে-সেখানে দু-চারটে করে
ফুটেছে পেঁয়াজ কলি।।
এখনো পাতার রঙ
শুষেনি সব সি-ওটু এবং
ফুলে এখনও বসেনি অলি।
ও মোর সবুজ ব্রকোলি,
ও তোর গিয়েছে সকলই-
শুধু রঙ খানা রয়ে গেছে
তাও দিতে চাস কি রে বলি!!
(সি-ওটু= কার্বন ডায়োক্সাইড, আমার বিশ্বাস, প্যারডি গানে কেমিক্যাল ফরমুলা ইতিপূর্বে ব্যবহৃত হয়নি)
৫)
নিশিকুটুম্বের গান।।জাগরণে যায় বিভাবরী।
সিঁদকাঠি নিয়ে হাতে শুধুই ঘুরি।।
হায় কী করি! হায় কী করি!
সিঁদকাঠি নিয়ে হাতে শুধুই ঘুরি।।
হায় কী করি! হায় কী করি!
আগুন লাগলে ঘরে তবু যে ঘুমায়
আজ তার নাকডাকা শুনতে না পাই
কিভাবে সে ঘরে আজ কী ভাবে রে
কিভাবে সে ঘরে আজ করব চুরি?।
হায় কী করি! বাঁচি না মরি!
আজ তার নাকডাকা শুনতে না পাই
কিভাবে সে ঘরে আজ কী ভাবে রে
কিভাবে সে ঘরে আজ করব চুরি?।
হায় কী করি! বাঁচি না মরি!
ওষুধ ছড়িয়ে দিনু জানলা দিয়ে
এবার ঘুমোও। এবার ঘুমোও খুড়ো নাক ডাকিয়ে।
এখনও আওয়াজ? দেখি উঁকিটি মেরে-
ও হরি! টিভি-যে চলে রাত্রি ধরে
সারারাত রাম রাম আরে রে ছিছি-
সারারাত মিছিমিছি চৌকিদারি।।
হায় কী করি! খালি হাতেই ফিরি!
এবার ঘুমোও। এবার ঘুমোও খুড়ো নাক ডাকিয়ে।
এখনও আওয়াজ? দেখি উঁকিটি মেরে-
ও হরি! টিভি-যে চলে রাত্রি ধরে
সারারাত রাম রাম আরে রে ছিছি-
সারারাত মিছিমিছি চৌকিদারি।।
হায় কী করি! খালি হাতেই ফিরি!
৬)
একটি প্রেমের গান !
তার হাতে ছিল একটি টিনের ক্যান পেট্রোল তেলে ভরা
পেট্রোলের তেলে ভরা ।
মোর সাথে ছিল পেঁয়াজ ভরা থলে
নাসিক থেকে বাজার করা ।।
পেট্রোলের তেলে ভরা ।
মোর সাথে ছিল পেঁয়াজ ভরা থলে
নাসিক থেকে বাজার করা ।।
সহসা আসিয়া কহিল সে সুন্দরী, এসো না বদল করি ।
রাঁধছি চিকেন বাড়িতে, তেল ভরে নাও গাড়িতে- নাও ত্বরা ।।
রাঁধছি চিকেন বাড়িতে, তেল ভরে নাও গাড়িতে- নাও ত্বরা ।।
তুমি যদি ওল, আমিও তেঁতুল- বললাম, তবে এসো
লিফট দি-নাহয়, আমার পাশেই বসো ।
দুজনেই মোরা হলাম যে জয়ী একে অপরকে পেয়ে
কিছুই হলনা গো হাতছাড়া !!
লিফট দি-নাহয়, আমার পাশেই বসো ।
দুজনেই মোরা হলাম যে জয়ী একে অপরকে পেয়ে
কিছুই হলনা গো হাতছাড়া !!
(ক্ষমা কর রবিঠাকুর, এমনও হয় !)
৭)
পদবী-গীতি
'ধর' হেঁকে কয় ধরো ধরো,
'দে' বলে সব দে,
'কর' বলেছে ট্যাক্সো চাহি,
'বল' কি বলিস রে!
'ঘোষ' বলে ভাই মলেম ঘষে-
'বোসে'র বাড়ির দাওয়ায় বসে,
'ভড়' বলে তোর ভড়ং দেখে
হেসেই বাঁচি নে!!
'দে' বলে সব দে,
'কর' বলেছে ট্যাক্সো চাহি,
'বল' কি বলিস রে!
'ঘোষ' বলে ভাই মলেম ঘষে-
'বোসে'র বাড়ির দাওয়ায় বসে,
'ভড়' বলে তোর ভড়ং দেখে
হেসেই বাঁচি নে!!
'পাঁজা' বলে ইঁটের পাঁজায়
আছে বাদামভাজা,
'সাঁতরা' বলে সাঁতরে গিয়ে
যে খায় সেই তো রাজা।
'সাহা' 'রায়' গিয়ে কাঁদে সাহারায়
'ভদ্র' লোকে যায় কি সেথায়?
হয়ে পূজারি 'ঠাকুর' চুরি
করে বেড়ায় কে??
আছে বাদামভাজা,
'সাঁতরা' বলে সাঁতরে গিয়ে
যে খায় সেই তো রাজা।
'সাহা' 'রায়' গিয়ে কাঁদে সাহারায়
'ভদ্র' লোকে যায় কি সেথায়?
হয়ে পূজারি 'ঠাকুর' চুরি
করে বেড়ায় কে??
('মেঘ বলেছে যাব যাব'-র সুরে গাইতে হবে)
৮)
ভোট-রঙ্গ
ভোট-রঙ্গ
হারজিতের এই ভোটেতে, মিলবে যারা জোটেতে
ও ভাই, ও ভাই, জিতবে যে তারাই ।
ধান্ধাবাজির ফন্দিতে, জুটতে হবে সন্ধিতে
জামাই বোনাই, মিলবে রে যারাই ।।
ও ভাই, ও ভাই, জিতবে যে তারাই ।
ধান্ধাবাজির ফন্দিতে, জুটতে হবে সন্ধিতে
জামাই বোনাই, মিলবে রে যারাই ।।
এখানে যোগ-বিয়োগের ফলে
লক্ষ কোটির খেলা চলে
গোটা দশ লাশ ত কিছুই না,
দুটো ভোট বেশী পেতে হলে-
দু-কান যাদের নাই জিতবে যে তারাই ।।
লক্ষ কোটির খেলা চলে
গোটা দশ লাশ ত কিছুই না,
দুটো ভোট বেশী পেতে হলে-
দু-কান যাদের নাই জিতবে যে তারাই ।।
জিতবে কে গো, হারবে কে গো
খবর রাখে চ্যানেল গুলো, জিতবে কে গো ।
খবর রাখে চ্যানেল গুলো, জিতবে কে গো ।
সারারাত জেগে যে ছোঁড়ারা
দেয়ালে ছোটায় গো ফোয়ারা,
গোপনে যারা বাঁধে পেটো
বাইকের মিছিল চালায় যারা -
তাদেরই লাশের উপর জিতবে দাদারাই ।।
(একটি জনপ্রিয় বাংলা ছায়াছবির গানের প্যারডি)
দেয়ালে ছোটায় গো ফোয়ারা,
গোপনে যারা বাঁধে পেটো
বাইকের মিছিল চালায় যারা -
তাদেরই লাশের উপর জিতবে দাদারাই ।।
(একটি জনপ্রিয় বাংলা ছায়াছবির গানের প্যারডি)
৯)
শুধু তুমি।।
চলনে-বলনে নাচনে-কোঁদনে তুমি যে ফেলেছ সাড়া
রঙেতে-তুলিতে, কবিতা ও গানে একি তব বোঝাপড়া--
তুমি যে আগুন, সবেতে দ্বিগুণ, মেলালে অহি-নকুলে
আনিলে ক্রান্তি শ্মশান-শান্তি এই ভাগীরথী কূলে ৷
বাঘে ও ছাগলে দেখে এক ঘাটে রোমাঞ্চিত এ ভূমি
আজ বাংলার ঘাসের শিকড়ে তুমিই শুধু তুমি ৷৷
রঙেতে-তুলিতে, কবিতা ও গানে একি তব বোঝাপড়া--
তুমি যে আগুন, সবেতে দ্বিগুণ, মেলালে অহি-নকুলে
আনিলে ক্রান্তি শ্মশান-শান্তি এই ভাগীরথী কূলে ৷
বাঘে ও ছাগলে দেখে এক ঘাটে রোমাঞ্চিত এ ভূমি
আজ বাংলার ঘাসের শিকড়ে তুমিই শুধু তুমি ৷৷
সিন্দুরে মেঘে জ্বলে যে গোয়াল, সে দীপের শিখা তুমি
ঢেলে বহুজল নেভালে অনল- গরুও বাঁচালে তুমি ৷
আপনা বিলায়ে ফেলেছ তুমি যে তিনটি ম-এর মাঝে,
লালেতে-নীলেতে বিভেদ ঘটালে, এ তোমায় নাহি সাজে ৷
দূকূল-আঁচলে ভরেছ মুকুলে, হাওয়াই পরশে ভূমি
হুগলী-নদীর জুড়ি দুই তীর তুমিই শুধু তুমি ৷৷
ঢেলে বহুজল নেভালে অনল- গরুও বাঁচালে তুমি ৷
আপনা বিলায়ে ফেলেছ তুমি যে তিনটি ম-এর মাঝে,
লালেতে-নীলেতে বিভেদ ঘটালে, এ তোমায় নাহি সাজে ৷
দূকূল-আঁচলে ভরেছ মুকুলে, হাওয়াই পরশে ভূমি
হুগলী-নদীর জুড়ি দুই তীর তুমিই শুধু তুমি ৷৷
সহসা দেখিনু তোমার দুচোখে কোন্ সে ভয়ের ছায়া
নাকি রজ্জুতে সর্প দেখিলে এ কোন অজানা মায়া ৷
জানে রাজারানী ক্ষমতা তোমার- কারো তা নয় অজানা
তোমারি শিয়রে জনগণ জাগে, তোমারই পুলিশ থানা ৷
কে কোথা কি লেখে, কি গায় কি আঁকে কি তাতে তোমার শুনি
এই বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে তুমিই শুধু তুমি৷৷
নাকি রজ্জুতে সর্প দেখিলে এ কোন অজানা মায়া ৷
জানে রাজারানী ক্ষমতা তোমার- কারো তা নয় অজানা
তোমারি শিয়রে জনগণ জাগে, তোমারই পুলিশ থানা ৷
কে কোথা কি লেখে, কি গায় কি আঁকে কি তাতে তোমার শুনি
এই বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে তুমিই শুধু তুমি৷৷
(কার্টুন-কাণ্ডের পর দিদির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ, এপ্রিল ১৯, ২০১২)
(কৃতজ্ঞতাঃ শ্রীমতী মীরা দেববর্মণ)
(কৃতজ্ঞতাঃ শ্রীমতী মীরা দেববর্মণ)
১০)
(মহাভারতকে রবীন্দ্রসংগীতের মত করে গাওয়া হলে কেমন হত?)
ভীষ্ম যখন যুদ্ধে মগন, নিয়ে কুরু দল ভার
অর্জুন বাদে পাণ্ডব সব ভয়েই পগার পার।।
ধনুক-বাণের এই মেল কি,
কে দেখেছে কবে হেন খেল কি?
বৃদ্ধ-হাড়ের এমন ভেল্কি দেখ চেয়ে সংসার।।
অর্জুন বাদে পাণ্ডব সব ভয়েই পগার পার।।
ধনুক-বাণের এই মেল কি,
কে দেখেছে কবে হেন খেল কি?
বৃদ্ধ-হাড়ের এমন ভেল্কি দেখ চেয়ে সংসার।।
গুণ জুড়িয়া বান ছুঁড়িয়া কে দাঁড়িয়ে রথে
এ যে শিখণ্ডী, পুরুষ-বেশে আস্ত নারীই বটে!
অস্ত্র ছাড়েন পিতামহ,
কৃষ্ণ বলেন এবার লহ
হাতে গাণ্ডীব পার্থ, কর ভীষ্মকে সংহার।।
এ যে শিখণ্ডী, পুরুষ-বেশে আস্ত নারীই বটে!
অস্ত্র ছাড়েন পিতামহ,
কৃষ্ণ বলেন এবার লহ
হাতে গাণ্ডীব পার্থ, কর ভীষ্মকে সংহার।।
১১)
কচুরি।।
কচুরি।।
ও কে কচুরি ভেজে খায়?
লুকিয়ে কড়াইশুঁটি সবুজ আভায়।।
গরম ঘি-এ লেচি ভাজা
ফুলে ফুলে খাস্তা খাজা,
যে খায় এসব সেই তো রাজা
মুকুট ছাড়াই।।
লুকিয়ে কড়াইশুঁটি সবুজ আভায়।।
গরম ঘি-এ লেচি ভাজা
ফুলে ফুলে খাস্তা খাজা,
যে খায় এসব সেই তো রাজা
মুকুট ছাড়াই।।
কী যেন বীণার মত, বেজেছে জিভের তারে,
যেন অমৃতের মত আভাস দিয়ে রয় সে দ্বারে।
রসনার কুঞ্জবনে দোলা দেয় অকারণে
এ স্বাদের ভাগ দেব না, করব লড়াই।।
১২)
কুমড়ো।।
কুমড়ো।।
আমার কুমড়ো বাগানে যখন প্রথম ধরেছে কুঁড়ি ৷
তোমারি লাগিয়া তখনই বঁধুয়া তলায় ধরেছি ঝুড়ি ৷৷
তোমারি লাগিয়া তখনই বঁধুয়া তলায় ধরেছি ঝুড়ি ৷৷
তখনও ফোটানো জলে সখা দিইনি চা-পাতা ফেলে,
স্কুটারে স্কুটারে অফিস হইতে ফেরেনিক ছোঁড়াছুঁড়ি ৷
স্কুটারে স্কুটারে অফিস হইতে ফেরেনিক ছোঁড়াছুঁড়ি ৷
এবার মুড়ির থালায় আচারের তেলটি ঢালার পালা,
মাখা হবে যে এখনই মুড়ি !
ওরে অবাধ্য কুমড়ো কবে রে তোর কুঁড়িগুলো ফুল হবে,
বন্ধু ঘরেতে ফেরার আগেই ফুটে ওঠ তড়িঘড়ি ৷৷
মাখা হবে যে এখনই মুড়ি !
ওরে অবাধ্য কুমড়ো কবে রে তোর কুঁড়িগুলো ফুল হবে,
বন্ধু ঘরেতে ফেরার আগেই ফুটে ওঠ তড়িঘড়ি ৷৷
১৩)
মুড়ি
১৪)
১৫)
(১৮)
মুড়ি
রাগ: মালগুঞ্জি, তাল: কাহারবা
কুঁড়েঘর থেকে তুমি প্রাসাদেতে এস মুড়ি
পায়ে হেঁটে লাগে লাজ? এস দিয়ে হামাগুড়ি।
জলপান কি আহারে ভাজাভুজি সমাহারে
মরিচ পেঁয়াজ সাথে দাও জিভে সুড়সুড়ি!
বাংলা গঞ্জে গ্রামে বিখ্যাত ঝালমুড়ি
কিম্বা মুম্বাইয়া মুর্মুরা ভেলপুরি,
একটু সর্ষে তেল- কালিয়া পোলাও ফেল,
মাখো কলাইয়ের ডাল, মোটেও হবেনা ভুঁড়ি।
(এই গানটা নজরুলের 'গুনজা মালা গলে কুঞ্জে এস হে কালা' র সুরে গাইতে হবে।)
কুঁড়েঘর থেকে তুমি প্রাসাদেতে এস মুড়ি
পায়ে হেঁটে লাগে লাজ? এস দিয়ে হামাগুড়ি।
জলপান কি আহারে ভাজাভুজি সমাহারে
মরিচ পেঁয়াজ সাথে দাও জিভে সুড়সুড়ি!
বাংলা গঞ্জে গ্রামে বিখ্যাত ঝালমুড়ি
কিম্বা মুম্বাইয়া মুর্মুরা ভেলপুরি,
একটু সর্ষে তেল- কালিয়া পোলাও ফেল,
মাখো কলাইয়ের ডাল, মোটেও হবেনা ভুঁড়ি।
(এই গানটা নজরুলের 'গুনজা মালা গলে কুঞ্জে এস হে কালা' র সুরে গাইতে হবে।)
১৪)
ক্ষুধাতুর শিশুর রবীন্দ্রসঙ্গীত ।।
মন বলেছে খাব খাব, পেট বলেছে খাই,
মা বলেছে, কোথায় পাব, খাবার তো আর নাই।।
মা বলেছে, কোথায় পাব, খাবার তো আর নাই।।
উদর বলে রইনু চেপে, মাঝে মাঝেই উঠছে কেঁপে,
আমি বলি একটুকু ভাত, আর কিছু না চাই।।
আমি বলি একটুকু ভাত, আর কিছু না চাই।।
কান্না চোখে ঘুমিয়ে পড়ি, নিয়ে ক্ষুধার জ্বালা
স্বপন দেখি আমার তরে লক্ষ রুটির থালা।
স্বপন দেখি আমার তরে লক্ষ রুটির থালা।
হাত বাড়িয়ে যেই পেতে চাই, সকল খাবার উধাও যে ভাই,
পূর্ণিমা চাঁদ তাকিয়ে হাসে, কোথাও কিছুই নাই।।
পূর্ণিমা চাঁদ তাকিয়ে হাসে, কোথাও কিছুই নাই।।
১৫)
ক্য়ালাবেন তিনি।।
ক্য়ালাবেন, তিনি ক্য়ালাবেন।
আছে যত সব পা-চাটার দল,
কোলের বখরা নিয়ে কোলাহল
করে শুধু যাঁরা চলেছেন।
এক এক করে সবাইকে ধরে পেটাবেন।
পাগল-ছাগলে কত কথাই না বলছে,
তেলা মাথাটিতে কত তেলই তারা দলছে
সে মাথায় দেখি তেলাপোকা হেঁটে চলছে-
কত আর তাকে তেলাবেন?
পালাবে কোথায়, সবকটাকেই
ধরে ধরে তিনি ক্য়ালাবেন!
হিসেবের কথা বলি তবে শোনো ,
দুয়ে দুয়ে পাঁচ হয়্না কখনও
দুয়ে দুয়ে শুধু দুধটি ফুরনো
গাইটিকে কত দোয়াবেন?
দু'য়ে দু'য়ে চার কত তিনি আর মেলাবেন,
এবার সবারে ক্য়ালাবেন!
(কবি অমিয় চক্রবর্তীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।)
(১৬)
টিকটিকি ও তেলাপোকা।।
যদি তারে না চীনেয় নেয় তবে
টিকটিকিতে নেবেই খেয়ে-
ওই যে গো সে দেয়াল বেয়ে
এল ধেয়ে! এল ধেয়ে!
সেকি তাহার এক কামড়ে
ধরবে কষে শক্ত করে-
চিবিয়ে খাবে কুড়মুড়িয়ে,
তাই সে আসে দেয়াল বেয়ে
এল ধেয়ে ! এল ধেয়ে!
সেকি মুখের জোরে দাঁত বসাবে
তারে ধরলে চেপে লেজ খসাবে।
চিমটা তাহার মুখের আকার
হঠাৎ মরণ তেলাপোকার,
তাকিয়ে থাকি অবাক হয়ে,
ওই দেখি সে দেয়াল বেয়ে
এল ধেয়ে! এল ধেয়ে!
টিকটিকিতে নেবেই খেয়ে-
ওই যে গো সে দেয়াল বেয়ে
এল ধেয়ে! এল ধেয়ে!
সেকি তাহার এক কামড়ে
ধরবে কষে শক্ত করে-
চিবিয়ে খাবে কুড়মুড়িয়ে,
তাই সে আসে দেয়াল বেয়ে
এল ধেয়ে ! এল ধেয়ে!
সেকি মুখের জোরে দাঁত বসাবে
তারে ধরলে চেপে লেজ খসাবে।
চিমটা তাহার মুখের আকার
হঠাৎ মরণ তেলাপোকার,
তাকিয়ে থাকি অবাক হয়ে,
ওই দেখি সে দেয়াল বেয়ে
এল ধেয়ে! এল ধেয়ে!
(১৭)
লুচি ও লকডাউন।।
লুচি ও লকডাউন।।
মানুষ মারে সে মনের হরষে স্ট্যাটাস পানে না চাহি রে!
লকডাউনের মাঝে আজ তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে!
বন্ধ দুয়ার বাজার আপিস
মাছ-তরকারি সকলি হাপিশ,
রাস্তা জুড়িয়া ঘুরিছে পুলিশ কাণ্ডটা কী এলাহি রে!!
ওগো দ্যাখ চেয়ে রান্নাঘরেতে থালা জুড়ে লেচি সাজা রে।
এখনই যে শুরু হবে লুচিগুলো ভাজা রে।
একবার উঁকি মেরে দ্যাখ দিকি
ছ্যাঁক-ছ্যাঁক রব শুরু হয়েছে কি?
করোনাতঙ্কে শুকনো মুখেতে ফুটেছে কি হাসি তাজা রে!
আজ ঘরে থাক, কাজ নেই গিয়ে বাজারে।।
গোল গোল লুচি ফুলিয়া ফুলিয়া ফাটিছে থালাতে থালাতে,
এই শুভক্ষণে চাস কোনখানে পালাতে?
আলুর দমেতে বাটি ভর-ভর
কড়াই-শুঁটিও কাঁপে থর-থর,
হিং-এর সুবাসে প্রবাসী-বন্ধু আনমনা হল বিলাতে।
ময়দা-ময়ানে মাখানো লেচিরা ঘিয়ে এল অবগাহি রে!
ওরে আজ তোরা পাত পেড়ে বোস, যাসনে ঘরের বাহিরে।।
(১৮)
শুক-সারি সংবাদ।
ছাতিম গাছ বিলাসিনী পেঁচি আমাদের।
পেঁচি আমাদের পেঁচি আমাদের-
আমরা পেঁচির, পেঁচি আমাদের!
শুক বলে আমার পেঁচা দিনে নাহি দেখে,
সারি বলে আমার পেঁচি চশমা পরে থাকে,
রোদ যে তাইতে ঢাকে!
শুক বলে আমার পেঁচা পরম রূপবান,
সারি বলে পেঁচি ওকে ভাবে শারুখ খান
নইলে সবাই সমান!
শুক বলে আমার পেঁচা ভুতকে না ডরায়
সারি বলে ভূতেরা যে পেঁচিকে ভয় পায়,
তবে আর ভয় কে দেখায়!
শুক বলে আমার পেঁচা করল এম-এ পাশ,
সারি বলে তুলল পেঁচি দিয়ে লম্বা বাঁশ
না হলে পড়ত ধপাস!
শুক বলে আমার পেঁচা জিতল ভোটে ওরে-
সারি বলে টিকিটটা কে আনল চুরি করে,
নাহলে যে মরত ঘুরে!
শুক বলে আমার পেঁচা পার্লামেন্টে যাবে,
সারি বলে তাও ভাল দিন ঘুমিয়ে কাটাবে।
পেঁচিও সঙ্গে যাবে!
পেঁচি তার সঙ্গে যাবে!!!
১৯)
ধর্ম ব্যবসা।
২০)
কোরান পড়িতে দিয়োগো আমারে
নিয়ো না, নিয়ো না সরায়ে।
বয়েত বলিতে না যদি বা পারি,
ফেলোনা আমারে মরায়ে।।
গলিত পচা এই সমাজের ভার
ধরম বেচিয়া টানি কত আর
নিজ হাতে তুমি কষে দিও মার
দোজখের বেড়া যাই পারায়ে।।
ক্ষমতাপিয়াসী পুরোহিত-মোল্লা
ভাগাও তাদেরে মারিয়ে,
নিজে এসে বোস নিজের দোকানে
খেদাও সবারে তাড়িয়ে।
বিকায়ে তোমারে তারা লাভ পায়
তোমার লাভের গুড় পিঁপড়াতে খায়,
মোর আর্জি তোমার কানেতে না যায়,
দালালের দেয়াল পারায়ে।।
২০)
দুঃসময়।
ছায়া ঘনাইল পথে পথে
কাননে কাননে ডাকে শেয়াল।
কবে মানুষের মাঝে মাঝে
গোপনে উঠিয়া গেল দেয়াল।।
কে জানে কাহার ইশারাতে
একদা খাইতে পান্তাভাতে
সহসা মাথাটি গেল নিয়া
কাটিয়া পুরোটি গেল নিয়া।।
যে বাটি ফ্রিজেতে ছিল ঢাকা
গোমাংস নাকি তাতে ছিল রাখা।
ওরে তোরা মারবি ত মার না
খামখা দিলি কেন এ বদনাম?
কেন মনে এল এই বদ্খেয়াল,
মানুষে মানুষে এই দেয়াল।।
২১)