পেটুকের বারোমাস্যা ।।
বৈশাখে শাঁখ বাজে বৈকালে শোন তা
ঝড়ে পড়া আম খাই দিয়ে ঝাল নোনতা।
জৈষ্ঠেতে জষ্টির মধু খাই টাটকা
সাথে কাঁঠালের কোয়া কিছু আল-টপকা।
আষাঢ়ে অসাড় দেহে বসে খাই মিষ্টি
ঝরঝর বরিষণ, একটানা বৃষ্টি।
শ্রাবণে বনের মাঝে ময়ুরের নৃত্য
আনারস রসধারে ভরে ওঠে চিত্ত।
ভাদ্রটা অভদ্র প্যাচপেচি গরমে
তালবড়া নাহি পেলে রাগ ওঠে চরমে।
আশ্বিনে অশ্বটা ছুটিয়ে বাজার ধাই
পুজোয় খিচুড়ি ভোগ চুটিয়ে দেদার খাই।
কার্তিকে কার দিকে ছুটব তা বল না
দেওয়ালির লাড্ডু সে শুধুই কি ছলনা?
অঘ্রাণে কার ঘ্রাণে ভুলি সব চিন্তা!
নলেন গুড়ের টানে নাচে মন ধিন তা।
পৌষে আউশ কাটি, মাতি পিঠে পরবে
উঠোনে মরাই বাঁধা, বুক ফোলে গরবে।
মাঘেতে শীতের ভয়ে পালায় পালাক বাঘ
লেপমুড়ি মাখা-মুড়ি-- কি খাওয়ার অনুরাগ।
ফাল্গুনে কালগুনে দেখি যে সময় নাই
বসন্ত জাগ্রত যাহা পাই, তাহা খাই।
চৈত্রের রাত্রের কি বাহার ভাব রে,
মহুয়ার নেশা ভাঙ্গে নববর্ষ ভোরে।
নববর্ষ, ১৪২২ সাল।
বৈশাখে শাঁখ বাজে বৈকালে শোন তা
ঝড়ে পড়া আম খাই দিয়ে ঝাল নোনতা।
জৈষ্ঠেতে জষ্টির মধু খাই টাটকা
সাথে কাঁঠালের কোয়া কিছু আল-টপকা।
আষাঢ়ে অসাড় দেহে বসে খাই মিষ্টি
ঝরঝর বরিষণ, একটানা বৃষ্টি।
শ্রাবণে বনের মাঝে ময়ুরের নৃত্য
আনারস রসধারে ভরে ওঠে চিত্ত।
ভাদ্রটা অভদ্র প্যাচপেচি গরমে
তালবড়া নাহি পেলে রাগ ওঠে চরমে।
আশ্বিনে অশ্বটা ছুটিয়ে বাজার ধাই
পুজোয় খিচুড়ি ভোগ চুটিয়ে দেদার খাই।
কার্তিকে কার দিকে ছুটব তা বল না
দেওয়ালির লাড্ডু সে শুধুই কি ছলনা?
অঘ্রাণে কার ঘ্রাণে ভুলি সব চিন্তা!
নলেন গুড়ের টানে নাচে মন ধিন তা।
পৌষে আউশ কাটি, মাতি পিঠে পরবে
উঠোনে মরাই বাঁধা, বুক ফোলে গরবে।
মাঘেতে শীতের ভয়ে পালায় পালাক বাঘ
লেপমুড়ি মাখা-মুড়ি-- কি খাওয়ার অনুরাগ।
ফাল্গুনে কালগুনে দেখি যে সময় নাই
বসন্ত জাগ্রত যাহা পাই, তাহা খাই।
চৈত্রের রাত্রের কি বাহার ভাব রে,
মহুয়ার নেশা ভাঙ্গে নববর্ষ ভোরে।
নববর্ষ, ১৪২২ সাল।