Friday, March 10, 2017

অনুবাদ- সেরা পুরস্কার

সেরা পুরস্কার।।

জেস ওয়েন্স
অনুবাদঃ পল্লব চট্টোপাধ্যায়

১৯৩৬এর গ্রীষ্মকাল। ওলিম্পিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আসর বসেছে সেবার জার্মানির রাজধানী বার্লিনে। এবারের আসরে সর্বত্র চর্চার বিষয় ছিল একটাই, অ্যাডলফ হিটলারের শিশুসুলভ 'মাস্টার রেস' সিদ্ধান্ত, অর্থাৎ তাঁর জাতির লোকেরা বর্ণশ্রেষ্ঠ আর্যবংশোদ্ভুত আর তথাকথিত অনার্যদের থেকে সব কিছুতেই এগিয়ে। তাই খেলার মাঠেও একটা হীন-সংকীর্ণ জাতিভেদ-প্রথার মনোভাব ঘুরে বেড়াচ্ছে সবসময়।

অবশ্য আমার এ নিয়ে বিশেষ চিন্তা ছিল না। ছ'বছর কঠোর অনুশীলন আর অনুশাসনের মধ্যে থেকে আমার ট্রেনিং শেষ হয়েছিল। জাহাজে আসতে আসতে কেবল একটা কথাই চিন্তা করতাম কিভাবে দু-একটা সোনার পদক আনা যায়। আমার বিশেষ দক্ষতা ছিল লং জাম্পে। বছরখানেক আগেই আমি ছাব্বিশ ফুট সাড়ে-আট ইঞ্চি লাফিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলাম। তাই আমার জয় সম্বন্ধে প্রায় প্রত্যেকেই নিঃসন্দেহ ছিল। কিন্তু অবাক করল একটা লম্বামতন ছেলে- ট্রায়ালেই লাফ দিল ছাব্বিশ ফুট। ছেলেটি ছিল জার্মান, নাম লুৎজ্‌ লঙ। সবাই বলাবলি করছিল যে হিটলার নাকি ওকে এতদিন লুকিয়ে রেখেছিলেন, একেবারে ভিক্ট্রি স্ট্যান্ডে দেখাবেন বলে।

আমি ভাবছিলাম যদি লঙ যেতে তাহলে ত আর্য-শ্রেষ্ঠতা সিদ্ধান্তের অনুকূলে আর একটা দৃষ্টান্ত বাড়বে। যতই হোক, আমি একজন নিগ্রো। তাই একটা বিজাতীয় রাগ হল হিটলারের উপর, ভাবলাম Der Fuhrer (অধিনায়ক)কে আর তার সুপার রেসকে একবার দেখিয়ে দিতে চাই কে শ্রেষ্ঠ!

জান ত, সব বড় কোচরাই বলে থাকেন যে অ্যাথলীট রেগে গেলেই ভুল করে। আমার বেলায় বা ব্যতিক্রম হবে কেন? তিনটে কোয়ালিফাইং জাম্পের প্রথমটাতে তাই আমার পা টেক-অফ্‌-বোর্ড থেকে বেশ কয়েক ইঞ্চি এগিয়ে গেল, অর্থাৎ ডিসকোয়ালিফায়েড! দ্বিতীয়বার অবস্থা হল আরো খারাপ। এরই জন্যে কি আমি তিনহাজার মাইল ছুটে এলাম, নিজেকেই ধিক্কার জানালাম- এইভাবে ট্রায়ালেই মার খেয়ে ফিরে আসা! পিট থেকে কয়েক পা এগিয়ে গিয়ে আমি ক্ষোভে আত্মধিক্কারে মাটিতে সজোরে একটা লাথি কষালাম। হঠাৎ কাঁধের উপর একটা সহৃদয় হাতের স্পর্শ। চেয়ে দেখি কোমল বন্ধুত্বপূর্ণ চোখে তাকিয়ে আছে সেই লম্বা জার্মান ছেলেটি, লং-জাম্পার লঙ। সে তার উষ্ণ হাত করমর্দনের জন্যে বাড়িয়ে দিল আমার দিকে।

- Hello Jesse, I am Luz Long- আমার মনে হয়না এর আগে আমাদের আলাপ হয়েছে- কিছুটা জার্মান মোচড় থাকলেও ইংরেজিটা ভালই বলছিল সে।
- আলাপ করে খুব খুশি হলাম, আমি বললাম। তারপর নিজের নার্ভাসনেসটাকে ঢাকবার জন্যে একটু সহজ হবার চেষ্টা করলাম- তারপর, কেমন আছ বল?
- চমৎকার। তুমি?
- মনে হচ্ছে কিছু যেন বলতে চাও!
- কিছু মনে কোরো না, আমার মনে হয় তুমি যেন কোন দুশ্চিন্তায় ভুগছ, মানে কোন কিছু তোমাকে কুরে খাচ্ছে। মানে তোমার ত চোখ বুজে কোয়ালিফাই করার কথা।
- বিশ্বাস কর, সেটা আমিও জানি......ব্যাকুলভাবে কথাটা বলে ফেলে যেন আমি বাঁচলাম।

তারপর বেশ কয়েকমিনিট ধরে আমাদের কথাবার্তা চলল। তাকে বলিনে কিসে আমায় খাচ্ছে, তবে লুৎজ বোধহয় ব্যাপারটা খানিক আন্দাজ করেছিল, অন্ততঃ আমার রাগের কারণটা। আমার ব্যথার কিছুটা অংশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবেই সে নিল। যদিও সে নাৎসি যুব-আন্দোলনে দীক্ষিত, কিন্তু আর্য-শ্রেষ্ঠতা সম্বন্ধে তার বিশ্বাস আমার চেয়ে কম বই বেশি ছিল না। ব্যাপারটা বুঝতে পেরে আমরা নিজেদের মধ্যেই খুব একচোট হেসে নিলাম। আমার থেকে ইঞ্চিখানেক লম্বা, সুগঠিত দেহ, স্বচ্ছ নীল চোখ, ঘন চুল আর চিত্তাকর্ষক সুন্দর মুখ- ওই মুখের দিকে তাকিয়া আমার উষ্মা একমুহূর্তেই তরল হয়ে গেল, হাসিমুখে পা বাড়ালাম টেক-অফ বোর্ডের দিকে।

- দেখ, লুৎজ্‌ আমাকে ডেকে বলল, তুমি বোর্ড থেকে খানিকটা পেছনে একটা দাগ টেনে দিয়ে দেখনা চেষ্টা করে। তাহলে নিশ্চয় আর ভুল হবে না। ট্রায়ালে নাহয় ফার্স্ট না-ই হলে!
তার কথার সত্যতা উপলব্ধি করে আমার মন থেকে যেন একটা বিরাট বোঝা নেমে গেল। দৃঢ়তার সঙ্গেই আমি একটা দাগ দিলাম- সেখান থেকেই লাফালাম। নিম্নসীমা থেকে প্রায় একফুট এগিয়ে থেকে যোগ্যতা অর্জন করলাম।

সে রাত্রে আমি হেঁটে গেলাম ওলিম্পিক গ্রামের রাস্তা ধরে জার্মান শিবিরের দিকে, লুৎজ লঙকে ধন্যবাদ জানাতে। জানতাম আমার ফাইনালে লাফাবার যোগ্যতা লাভের পথে এটা তারই পাওনা ছিল। আমরা কোয়ার্টারে বসে ঘণ্টাদুয়েক ধরে বিভিন্ন বিষয়ে গল্প করলাম। খেলাধূলা, নিজেদের কথা, সাময়িক ঘটনাবলি - এইসব বিভিন্ন বিষয়ের চর্চা চলল। শেষে যখন উঠে দাঁড়ালাম, বুঝতে পারলাম আমাদের মধ্যে একটা সত্যিকারের বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেছে। লুৎজ তার পরদিন স্টেডিয়ামে গিয়ে আমাকে হারাবার সাধ্যমত চেষ্টা নিশ্চয়ই করবে, কিন্তু এও জানতাম যে আমি জিতলে সবচেয়ে খুশিও সে-ই হবে।

পরদিন স্টেডিয়াম। যথারীতি লুৎজ তার আগেকার রেকর্ড ভেঙে ফেলল। ফলে আমাকে নজর দিতে হল আমার সাধ্যের শীর্ষবিন্দুটিতে। মনে আছে, সেদিন আমার পা যখন উড়ে এসে মাটি স্পর্শ করে, তখন আমার নামের পাশে তৈরি হয়ে গেছে আরও কটি শব্দ- '২৬ ফুট ৫-৫/১৬ ইঞ্চি- ওলিম্পিকেও লঙ জাম্পের রেকর্ড সৃষ্টিকারী'। ভিক্ট্রি স্ট্যান্ডে আমার পাশে দাঁড়িয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছে লুৎজ। অবশ্যই অধিনায়ক হিটলার স্ট্যান্ড থেকে শতাধিক গজ দূর দিয়েই রেগেমেগে চলে গিয়েছিলেন। লুৎজ কিন্তু হ্যান্ডশেক করল আমার সঙ্গে আর তার উষ্ণ আন্তরিক হাসির মধ্যে ভগ্ন-হৃদয় জাতীয় কোনও আভাস ছিল না, এ আমি হলফ করে বলতে পারি।

লুৎজের চব্বিশ ক্যারাটের নিখাদ বন্ধুত্ব সেদিন আমি যেমনটি পেয়েছিলাম, আমার ওলিম্পিকে জেতা সবকটা মেডেল আর কাপ গলিয়েও তার উপর বোধহয় একটা আবরণ চড়ানোও সম্ভব হবে না, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমি এও বুঝেছিলাম যে লুৎজ লঙ ছিল আধুনিক ওলিম্পিকের জনক পিয়ের-ডি-কুবার্তিনের স্বপ্নের অলিম্পিক খেলোয়াড় যার আদর্শ বোঝায় এই কথা কটি-
" অলিম্পিক খেলার প্রধান লক্ষ্য অংশগ্রহণ করা, জেতা নয়। জীবনের মূলনীতিই হল লড়াই করে যাওয়া, জয় নাহয় নাই মিলল।"  

Wednesday, March 8, 2017

গল্প- গীতিময়ের গীতিকথা (অফিসের গল্প - ৬)

গীতিময়ের গীতিকথা।।

স্থান- পণ্ডিচেরি রাজ্যের এক অখ্যাত জেলা-শহর।
কাল- ছাব্বিশে জানুয়ারির প্রাতঃকাল।
পাত্র- তিনিই ত নায়ক এই গীতিকাব্যের, ক্রমশ প্রকাশ্য।

পতাকা উত্তোলন হয়ে গেছে। জেনারেল ম্যানেজারের ভাষণও। এরপর সাধারণতঃ মিষ্টির প্যাকেট বিলি করা হয়, সেই সঙ্গে কিছু গানবাজনা, হাল্কা মনোরঞ্জন।
এমন সময় শুনতে পেলাম মাইক হাতে নিয়ে কেউ একজন মর্মান্তিক করুণ সুরে ইনিয়ে-বিনিয়ে কেঁদে যাচ্ছে। ভাষা কিছুই বোঝা যাচ্ছে না, তবে একটা বুকফাটা আর্তনাদের মত শোনাচ্ছে। 'আরে মাইক মে কৌন রো রহা হ্যায়?' বলে আমি আশেপাশে জবাবের জন্যে তাকালাম।
- দাদা, জি-এম গান গাইছে। মাইকটা বোধহয় একমিনিটের জন্যে খালি পড়েছিল, ওটা হাতিয়ে নিয়েছে। এবার তাহলে কেটে পড়ি- ভাস্কর বিশ্বাস খবরটা জানাল।
আমি নতুন এসেছি প্রজেক্টে, কিছুই বুঝলাম না। 'এখানকার জেনারেল ম্যানেজার গান গেয়ে শোকপালন করেন?' অবাক হয়ে জিগ্যেস করি। এতক্ষণে বুঝতে পারছি যৎপরোনাস্তি বেসুরো গলায় 'অ্যায় মেরে ওয়াতন কে লোগোঁ' গানটা গাওয়া হচ্ছে।
- না দাদা, ইনি জি-এম মানে গীতিময়। পারচেজ অফিসার জি এম সোম। ফাটাফাটি ওস্তাদ। একাই পুরো টাউনকে মাতিয়ে রেখেছেন।

ঘণ্টাখানেক চরম অস্বস্তিতে কাটিয়ে টাকমাথা সদাহাস্যময় গীতিময়বাবুর সাথে বলতে গেলে নিজের স্বার্থেই গিয়ে আলাপ করলাম। বললাম 'দেখুন, গানবাজনা আমরাও একটু-আধটু করে থাকি। তা, আপনি যে একজন ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ, তা তো ওই গলা শুনেই বুঝেছি। গানটা আপনি ভালই করেন। তবে রেয়াজ করবেন নিয়মিত। তাহলে গলায় সুরটা অন্ততঃ আসবে।'
আমার খোঁচাটুকু মাঠে মারা গেল। উনি বরং উৎসাহিত হয়ে বললেন-'আরে আপনি ড্রিলিং অফিসে নতুন এসেছেন না! ওই ত আপনাদের পেছনের ব্যাচেলার ফ্ল্যাটে আমি থাকি। ফ্যামিলি আনতে পারিনি, বুঝলেন কিনা, ছেলেমেয়ে কলকাতায় পড়াশুনা করে। তাই ওই গানবাজনা করেই সময় কাটাই। তা আপনার ওখানে যাব একদিন, বৌদির সঙ্গে আলাপ করে আসব।'

ব্যস, খাল কেটে কুমীর ডাকার কাজটা আমি সুসম্পন্ন করে ফেললাম। এই কাজটা না করলে আমি গানবাজনা এত শিগ্‌গির ভুলতাম না বোধহয়।
গীতিময়বাবু রেয়াজ করেন না তাঁর অতিবড় শত্রুও বলবেন না। সকাল থেকে শুরু হয় তাঁর কাক তাড়ানো, অবশ্যই এক অনৈচ্ছিক প্রক্রিয়ায়। আবার সন্ধ্যের পর বসে আসর, অনেকেই আসেন কানে তুলো লাগিয়ে, ক্যান্টিন থেকে আনানো চা আর চপ-সিঙ্গাড়ার সদ্‌ব্যবহার করে কেটে পড়েন। ফলে আমার রাত জেগে বইপড়া বন্ধ হয়ে গেছে, কারণ অনিচ্ছাসত্ত্বেও ভোরবেলায় উঠে পড়তে হয়, আর গুরুদেব যতই বলুন, এই সুর শুনায়ে ভাঙা ঘুমটা আমার মোটেই রমণীয় হয় না।
ইতিমধ্যে আমাদের অফিসার ক্লাবের বাৎসরিক অনুষ্ঠানের দিন এসে পড়ল। 'আমাকে কুড়িমিনিটের মত সময় দেবেন, ভাই', গীতিময়বাবু আমাকে সলজ্জভাবে অনুরোধ করলেন। 'দেখি, কতটা দেওয়া যায়', আমি কালচারাল সেক্রেটারি হিসেবে নিজের দায়িত্বের কথা মনে করে বললাম, 'অনেক নাচিয়ে-গাইয়েই আছেন কিনা! তাছাড়া মিসেস বিশ্বাস, ট্রান্সপোর্টের ভটচাযদা আছেন, এঁরা একটা গীতিনাট্য টাইপের করছেন। মিসেস তিওয়ারির ঠুমরি-দাদরা, ডাঃ দাসের গজলেও ত বেশ খানিকটা সময় যাবে।'

ভেবেছিলাম ফাংশানের দিন ব্যস্ততার ভান করে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াব, সেখানেও বিধি বাদ সাধলেন। 'আরে ভাই, সোমবাবুকো ভি কোই গানা গানে বোলো, ইতনা বড়া মেহফিল উনকে বগের থোড়ে জমেগা!'- নকল জি-এমের জন্যে দরবার করলেন আসল জি-এম সৈনী স্বয়ং। ভাবখানা এই যে মজাটা দেখাই যাক। গীতিময়বাবুকে আর পায় কে! অর্কেস্ট্রাকে ইশারা করে মাইক টেনে নিলেন তিনি। সৈনীসায়েব একটা চিকেন কাবাবের টুকরো মুখে নিয়ে কানের তুলোটা গুঁজে নিলেন ভাল করে।

'স্যার, একটু তুলোটা খুলে শুনুন, কিশোরের গানটা ভালই গাইছেন দাদা।' একজন পারিষদ পাশ থেকে বললেন।
'ইস গলতফহমি মে না রহিও। লগতা হ্যায় তুমলোগোঁকে কানোঁ কো সোমবাবুকা গানা শুননে কা আদত পড় গয়া হ্যায়। 'জিন্দগী' বোল রহা হ্যায় ইয়া 'গন্দগী'!'

বলছেন। আবার একটা গান শেষ হতেই 'আউর এক, আউর এক' বলে চিৎকারও করে যাচ্ছেন। আমি এই কথাটাই এবার সাহস করে তাঁকে বললাম।
'আরে মুখর্জি, ইধর বইঠো, তুমকো সমঝাতা হুঁ।' আজ স্যার বেশ ভাল মুডে আছেন মনে হচ্ছে।
তারপর ওঁর কাছে যা জ্ঞানলাভ করলাম তাঁর নিজের ভাষাতেই বাংলা করে দিচ্ছি।

' জান ত আমি একজন সিভিল ইঞ্জিনীয়ার। আমরা মাটি খোঁড়ার যে বরাত কন্ট্রাকটারদের দিই তার রেট হয় ভলিউম হিসেবে। তা এরিয়া তো সহজেই মাপা যায়। তার সঙ্গে ডেপ্‌থ গুণ করলে এক্সক্যাভেটেড ভল্যুম বেরোয়। খোঁড়ার গভীরতা মাপার জন্যে ওরা কি করে, একটা ছোট্ট অংশকে না খুঁড়ে যেমনকার তেমনি রেখে দেয় ডেটাম বা বেঞ্চ মার্ক হিসেবে, পরে আমরা সেটার উচ্চতা মেপে সেই অনুযায়ী পেমেন্ট করি।'
'তা বুঝলে, এই সোমদাদার গানটাও তাই। আমার কন্যা পাঁচ বছর আগে গান শিখতে শুরু করেছিল, তার আগে ওকে সোমের গান শুনিয়েছিলাম। আজ ওর কলেজের ছুটিতে এসেছে, আবার সোমের গান শুনছে। এখন একটা কম্পারিসন করলে ওর কতটা উন্নতি হয়েছে সেটা বুঝতে পারবে, কারণ সোম তো সুরোঁ কা বেঞ্চ মার্ক হ্যায়, পেহলে জাহাঁ থা পাঁচ সাল কে বাদ ভি ওহিঁ হ্যায় আউর বিশ সাল বাদ ভি ওয়সা হি রহেগা।'

'স্যার, আপনি জানেন না, সোমবাবুর গান শুনে শুনে আমি চেনা গানগুলোরও সুর ভুলে যাই আজকাল। ইয়ে খতরা ভি হ্যায়', আমি সবিনয়ে বলি।
'অ্যাঁ, তাই নাকি?' এবার চমকানোর পালা সৈনী সাহেবের। 'ওরে, কে আছিস, সোমবাবুকে একটু ধরাধরি করে স্টেজ থেকে নামা বাবা!'