বুঝলে গুরু!
- বুঝলে গুরু, এক-একটা এমন মাল আছে না এই ভবানীপুরে, নিজেকে কী যেন মনে করে!
- ক্যানো বে? কে কী বলেছে, একবার থোব্ড়াটা দেখিয়ে দিস তো!
- না না, সেরম কিছু নয়। সেদিন একটা ছোকরা পোস্টার মারছিল দেয়ালে। নাম জিজ্ঞেস করতে বলে বঙ্কিমচন্দ্র। টাইটেল শুধোলাম, বলে চ্যাটার্জি। শ্লা নামটা খুব শোনা শোনা লাগছিল। তা বলতেই মালটা বলে কিনা, এ পাড়ায় এই বঙ্কাকে কে না চেনে! তোমাদের গুরুকেই জিগাও না গিয়ে।
- সে কী রে, তুই বঙ্কিমকে চিনিস না? ওই তো মোড়ে গাড়ির নম্বর প্লেট লেখে আর পার্ট-টাইম পোস্টার সাঁটায়।
- না গুরু, সে কথা না। ভাবছি বঙ্কিমচন্দ্র চ্যাটার্জি নামটা কেমন যেন চেনা লাগছে। কি জানি উত্তমকুমারের সাথে সাইড-রোলে দেখেছি মনে হয় কোন পুরনো সিনেমায়।
- মার গুলি। এল্গিন রোডের ওই বড় বাড়িটায় গেছিলি? ওই যে যারা বাড়ি সারাতে শ্লা আমাদের কাছ থেকে না নিয়ে বেপাড়াত্থেকে মাল আনাচ্ছে?
- হ্যাঁ গুরু, গেছলাম। বাড়ির মালিক ছিল না। কে একজন দিদিমা গোছের বেরিয়ে এসে সব শুনে আমাদিগকেই ঝাড় দিতে লাগল। বলে- জান এটা সুভাষচন্দ্র বোসের বাড়ি?
- তাপ্পর কী কল্লি? তাই শুনে চলে এলি?
- বুড়ি মানষের সঙ্গে কী বকর-বকর করব। বললাম, ঠিক আছে দিদ্মা। আমরা পরে এসে সোজা সুভাষদার সাথেই কথা বলে নেব। হুঁঃ, সিন্ডিকেটকে ফাঁকি দেওয়া, ভেবেছেটা কী!
- তাহলে চা টা শেষ করেনে। আজ রবিবার সুভাষদা নিশ্চয় বাসায় থাকবে, চ' ধরি গিয়ে!
(সত্যি-মিথ্যে জানিনা, খবরের কাগজের একটা রিপোর্ট অবলম্বনে)
No comments:
Post a Comment