"অদ্ভুতুড়ে বিয়ে"
শ্যাওড়াফুলির ক্যাওড়াতলায় থাকত সে এক পেত্নি,
সম্পর্কে বেতাল ভাটের হত সে যে নাতনী।
পড়শি ছিল কারিয়া পিরেত
মাথাটি তার নয়কো নিরেট
স্বপ্ন দেখে একদিন সে করবে তাকে পত্নী।
সম্পর্কে বেতাল ভাটের হত সে যে নাতনী।
পড়শি ছিল কারিয়া পিরেত
মাথাটি তার নয়কো নিরেট
স্বপ্ন দেখে একদিন সে করবে তাকে পত্নী।
সংকল্পখানা সে যে রেখেছিল প্রায় গুপ্ত,
ক্রমে ক্রমে ইচ্ছেটা তার রইল না আর সুপ্ত।
ভাবতে থাকে কিভাবে সে তার
কার্যখানা করে উদ্ধার,
পেত্নিরে সে পত্নী করে হবেই অবলুপ্ত!
ক্রমে ক্রমে ইচ্ছেটা তার রইল না আর সুপ্ত।
ভাবতে থাকে কিভাবে সে তার
কার্যখানা করে উদ্ধার,
পেত্নিরে সে পত্নী করে হবেই অবলুপ্ত!
ছিরামপুরের গাঙ্গের ধারে মস্ত ছিল খামার
সেইখানে তার বন্ধু ছিল রমাকান্ত কামার
উল্টোলে তার নামের আদল
একই থাকে, হয়না বদল,
ভূত হয়ে তাই রইল মানুষ মতন তোমার-আমার।
সেইখানে তার বন্ধু ছিল রমাকান্ত কামার
উল্টোলে তার নামের আদল
একই থাকে, হয়না বদল,
ভূত হয়ে তাই রইল মানুষ মতন তোমার-আমার।
এক সন্ধ্যেয় পেত্নিটা যার নামটি ছিল ন্যাকা
কারশেডের ওই নোংরা ডোবায় ধুচ্ছিল গা একা।
এমন সময় রমাকান্ত
ভূত হয়ে যে ছিল জ্যান্ত,
চাপল ঘাড়ে, বুঝল না কেউ, যায় না তাকে দেখা।
কারশেডের ওই নোংরা ডোবায় ধুচ্ছিল গা একা।
এমন সময় রমাকান্ত
ভূত হয়ে যে ছিল জ্যান্ত,
চাপল ঘাড়ে, বুঝল না কেউ, যায় না তাকে দেখা।
কি হল ছাই কেউ বোঝেনা, রমাকান্ত কামার
ন্যাকার ঘাড়ে চড়ে কেবল গাইতে থাকে ধামার,
সবাই বলে কাণ্ডটা কি?
ন্যাকার হল বিকার নাকি!
ভূতের দেশে আমদানি কে করল সারেগামার?
ন্যাকার ঘাড়ে চড়ে কেবল গাইতে থাকে ধামার,
সবাই বলে কাণ্ডটা কি?
ন্যাকার হল বিকার নাকি!
ভূতের দেশে আমদানি কে করল সারেগামার?
কি যে হল ন্যাকারানীর কেউ পারেনা বুঝতে
গেছো-মেছো-মামদো-নিশি ব্যস্ত সবাই খুঁজতে।
হাফ-ভূতকে যায়না দেখা,
পিঠের ব্যথায় মরছে ন্যাকা,
কাণ্ডটা কি জানলে তবেই পারবে কি না যুঝতে!
গেছো-মেছো-মামদো-নিশি ব্যস্ত সবাই খুঁজতে।
হাফ-ভূতকে যায়না দেখা,
পিঠের ব্যথায় মরছে ন্যাকা,
কাণ্ডটা কি জানলে তবেই পারবে কি না যুঝতে!
এমন সময় কারিয়া পিরেত হাজির চেপে প্যাঁচায়,
বললে, ওহে মেয়েভূত কি এমনি করে চেঁচায়?
মানুষ কাঁধে ভর করেছে,
ন্যাকা বুঝি প্রায় মরেছে,
আমি ছাড়া আর কে আছে পেত্নিকে আজ বাঁচায়!
বললে, ওহে মেয়েভূত কি এমনি করে চেঁচায়?
মানুষ কাঁধে ভর করেছে,
ন্যাকা বুঝি প্রায় মরেছে,
আমি ছাড়া আর কে আছে পেত্নিকে আজ বাঁচায়!
সবাই মিলে ধরল তাকে, ‘কারিয়া প্রেত ওরে,
জানিনা এই পেত্নিটাকে কে রয়েছে ধরে।
তুই যদি তোর বিদ্যে দিয়ে
ন্যাকাকে আজ দিস বাঁচিয়ে
তোর সাথে ওর দেবই বিয়ে, দেখি কে কি করে!’
জানিনা এই পেত্নিটাকে কে রয়েছে ধরে।
তুই যদি তোর বিদ্যে দিয়ে
ন্যাকাকে আজ দিস বাঁচিয়ে
তোর সাথে ওর দেবই বিয়ে, দেখি কে কি করে!’
কারিয়া শুনে বুক ফুলিয়ে বললে ‘ওরে কামার,
শোনরে ব্যাটা, আদেশ দিলাম ঘাড় থেকে ওর নামার।‘
মুচকি হেসে আসলো নেমে
দেখল সবাই শ্বাসটি থেমে,
রমাকান্ত বলল ‘ওরে, ন্যাকা এখন আমার’।
শোনরে ব্যাটা, আদেশ দিলাম ঘাড় থেকে ওর নামার।‘
মুচকি হেসে আসলো নেমে
দেখল সবাই শ্বাসটি থেমে,
রমাকান্ত বলল ‘ওরে, ন্যাকা এখন আমার’।
কাণ্ড দেখো, ন্যাকা এখন হেসেই কুটিকুটি
রমাকান্তের সাথে কেমন করছে সে খুনসুটি।
বললে, ‘ওগো কারিয়া প্রেত,
বন্ধু তোমার মানুষটা গ্রেট,
মোদের হল মালা বদল, তোমার এবার ছুটি’।
রমাকান্তের সাথে কেমন করছে সে খুনসুটি।
বললে, ‘ওগো কারিয়া প্রেত,
বন্ধু তোমার মানুষটা গ্রেট,
মোদের হল মালা বদল, তোমার এবার ছুটি’।
No comments:
Post a Comment