হরিদাস পাল ।।
দাঁড়িয়ে আছি 'অ্যালকেমি ড্রাগ ও ফার্মা কোম্পানি'র মার্কেটিং ম্যানেজারের অফিসের সামনে, ভাসী, নবী মুম্বাইয়ে । এসেছিলাম আমাদের হাসপাতালের জন্যে একটা কনসাইনমেন্টের ইন্সপেকশনের ব্যাপারে । দরজার পাশে বোর্ডে লেখা 'হরিদাস পাল' । ভাবছি নামটা কোথায় যেন শুনেছি । এমন সময় কানে এল একটা ভারী গলা । 'একটা সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন করছি, বলতে পার, গাছের ডালে বসে সেই ডালেরই গোড়ায় কে কোপ মেরেছিল?'
-স্যার, মনে হয় কালিদাস, একটি অপ্রতিভ গলার জবাব এল ।
- আজ্ঞে না স্যার, এটা ইতিহাসের প্রশ্ন নয়, তিনি হরিদাস - ভারী গলার জবাব এল, এই হরিদাস পাল- যে তোমাদিগকে রিপ্রেজেন্টেটিভ থেকে ফীল্ড অফিসারে প্রমোট করেছিল বোকামি করে । আজ আটাশে ফেব্রুয়ারি, আর তোমরা এখনও সত্তর পারসেন্টে আটকে !
হঠাৎ চোখের সামনে থেকে প্রায় পঁচিশ বছরের পর্দা যেন সরে গেল । এক শনিবারের সকালে যাচ্ছি কলকাতা থেকে তারকেশ্বর । ছুটির দিন, উলটো রুটের লোকালে নিত্যযাত্রীদের ভীড় নেই বললেই চলে । ভীড় আছে, তবে বেশিরভাগই বাবার থানের তীর্থযাত্রী, আমিও তাই । ভাগ্যক্রমে জানালার ধারে একটা সীটও পেয়ে গেছি । পাশে বসে বোধহয় কোনও ইতিহাসের অধ্যাপক তাঁর স্কুল-পড়ুয়া ভাগ্নেকে পেরুর ইন্কাদের বিরুদ্ধে পিজারোর নৃশংস যুদ্ধের গল্প শোনাচ্ছেন । মন্দ লাগছিল না শুনতে । কিন্তু ট্রেন শ্যাওড়াফুলি পেরোতেই একটা কার যেন হেঁড়ে গলা ভেসে এল দুটো সীটের ওপার থেকে- কি মশাই, বাচ্চা ছেলেকে লাতিন আমেরিকার ইতিহাস শোনাচ্ছেন । ভাল কথা । তবে তার আগে দেশের ইতিহাসটা জানুক ভালভাবে ।
- তার জন্যে স্কুলের পড়াই যথেষ্ট । দেশের ইতিহাসে আছে কি আর !
- কি যে বলেন স্যার? আমরা কতটুকু জানি আর বইয়েই বা কতটুকু আছে ! আপনি তো পণ্ডিত মানুষ, বলুন তো, পলাশীর যুদ্ধে সিরাজুদ্দৌলা পঞ্চাশ হাজার সৈন্য-সামন্ত নিয়েও হাজার তিন ইংরেজের কাছে হেরে গেল কি করে ?
- আর প্রশ্ন পেলেন না, এর উত্তর ত একটা জুনিয়ার স্কুলের বাচ্চাও দিতে পারে । কে না জানে মিরজাফর, জগতশেঠ আর উমিচাঁদরা ক্লাইভের সাথে হাত মিলিয়ে নবাবের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে । অধ্যাপকের সাবলীল উত্তর ।
- তাহলে সঠিক খবরটা জেনে নিন স্যার আমার কাছে । পলাশীর যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলার হার হয় মাত্র দু-টাকার জন্যে । হ্যাঁ, মাত্র দু-টাকা ।
যা ব্বাবা, লোকটা পাগল নাকি ? আমি একবার আড়চোখে লোকটার চেহারাটা দেখে নিলাম । লম্বা, রোগা, ২২-২৩ বছর বয়সের যুবক, কাঁধে ঝোলা ক্যানভাসের ব্যাগ । ছাত্র, বেকার, কম্যুনিষ্ট যা খুশী হতে পারে, চেহারায় দারিদ্র্যের ছাপ স্পষ্ট । তবে কণ্ঠস্বরে একটা জোরালো ভাব আছে । অন্য সবার শোনার উৎসাহ দেখে লোকটি বলতে শুরু করল তার গল্প ।
- ১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন, অর্থাৎ আষাঢ়মাসে মূল যুদ্ধটা হয় । যুদ্ধ শুরু হবার দু-ঘন্টার মধ্যে মীরমদন মারা যান । সে তো আপনারা নবীন সেনের বইতেই পড়েছেন-
'ছুটিল একটি গোলা রক্তিম বরণ ।
বিষম বাজিল পায়ে, সেই সাঙ্ঘাতিক ঘায়ে
ভূতলে হইল মীরমদন পতন'।
তখনি বোঝা গেল যে সিপাহ্সালার মিরজাফর বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন । মীরমদনের প্রায় ১০ হাজার সৈন্য ভয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে পালায় । তাতেও কিছু আসে যায় নি, কারণ মিরজাফরের হাতে মাত্র ১৬ হাজার সৈন্য ছিল যারা যুদ্ধ করে নি । কিন্তু বীর সেনাপতি মোহনলাল প্রায় হাজার দশেক সৈন্য আর শ-খানেক কামান নিয়ে বীরবিক্রমে এগিয়ে যায় ক্লাইভের হাজার তিনেক সেনা আর গোটাচল্লিশ কামানের তোয়াক্কা না করে । এমন সময়...
- বৃষ্টি নামল । প্রফেসর বললেন ।
- ঠিক বলেছেন স্যার । আর এখানেই মার খেয়ে গেল ফরাসি গোলন্দাজদের ভরসায় থাকা সিরাজ-বাহিনী । বৃটিশরা যখন ঠিক সময়ে তাদের কামানগুলো ত্রিপল দিয়ে মুড়ে ফেলেছে, ফরাসীরা দেখা গেল একেবারেই অপ্রস্তুত । যতক্ষনে ত্রিপল জোগাড় হল, সব কামান ভিজে চুপসে গেছে । ক্লাইভ তো ভীষণ খুশী । তবে মোহনলালও হাল ছাড়ার লোক নন । তিনি করলেন কি উত্তর-পশ্চিম প্রান্ত থেকে কিছু পদাতিক সেনাদেরকে অন্য সেনাদের আড়ালে রেখে ত্রিপল দিয়ে মুড়ে দিলেন আর তারপর কায়দা করে সামনের বাহিনীকে সরিয়ে দিলেন । এইবার ব্রিটিশদের নজরে পড়ল সারি সারি ত্রিপল মোড়া কামানগুলোর দিকে । একি, এমন তো কথা ছিল না । রাজা রাজবল্লভ কি তবে ভুল খবর দিলেন ? ক্লাইভ ভাবছেন পিছু হঠবেন কিনা ।
ঠিক সেই সময় দূরবীন হাতে ক্লাইভের মনে হল, যে বাঁ-দিকে একটা ত্রিপল একটু অস্বাভাবিকভাবে নড়ছে । ব্যস, আর যায় কোথায় । গুপ্তচর কিছুক্ষণের মধ্যেই আসল খবর এনে দিল । আর তারপরের ঘটনা তো আপনারা জানেনই ।
- কিন্তু হয়েছিল কি আসলে, একজন শ্রোতা প্রায় ব্যাকুল হয়ে প্রশ্ন করলেন ।
- কেন, ঐ সৈনিকটার দাদ হয়েছিল, চুলকুনি থামাতে পারছিল না । ততক্ষণে ব্যাগ থেকে লোকটির হাতে উঠে এসেছে একটি ছোট কৌটো । ভাবুন দেখি, মাত্র দু-টাকা দামের এই মলমটা যদি তার কাছে তখন থাকত, আজ কি ভারত পরাধীন হত !
হঠাৎ করে সবার মধ্যে মলম কেনার জন্যে হুড়োহুড়ি পড়ে গেল । কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যাগের স্টক শেষ করে তৃপ্তির নিঃশ্বাস ফেলল লোকটি । আমিও একটা নিলাম কৌতূহলবশতঃ । দেখি পাতি স্যালিসিলিক এসিড । ভাই আপনার নামটা জানতে পারি, আমি জিগ্যেস করলাম ।
- হরিদাস পাল । এই হরিপালেই বাড়ী । ইতিহাস অনার্স নিয়ে বি-এ পাস করে এই করছি । চেষ্টা করছি পড়াটা চালিয়ে যাবার ।
- না, না, আপনার ফিউচার আছে । একটা সময় আসবে যখন আপনাকে আর শুনতে হবে না 'কে হে তুমি হরিদাস পাল?'
না, আমার ভবিষ্যদ্বানী বোধহয় নির্ভুল, সেই জোরালো গলা, সেই এক কথা বলার ভঙ্গি- এ আর কেউ হতেই পারে না । আমি ধীরে ধীরে এগিয়ে গিয়ে অফিসের দরজায় 'নক্' করলাম ।
(ত্রৈমাসিক 'ট্রৈনিক' পত্রিকায় প্রকাশিত)
পল্লব চট্টোপাধ্যায়
দাঁড়িয়ে আছি 'অ্যালকেমি ড্রাগ ও ফার্মা কোম্পানি'র মার্কেটিং ম্যানেজারের অফিসের সামনে, ভাসী, নবী মুম্বাইয়ে । এসেছিলাম আমাদের হাসপাতালের জন্যে একটা কনসাইনমেন্টের ইন্সপেকশনের ব্যাপারে । দরজার পাশে বোর্ডে লেখা 'হরিদাস পাল' । ভাবছি নামটা কোথায় যেন শুনেছি । এমন সময় কানে এল একটা ভারী গলা । 'একটা সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন করছি, বলতে পার, গাছের ডালে বসে সেই ডালেরই গোড়ায় কে কোপ মেরেছিল?'
-স্যার, মনে হয় কালিদাস, একটি অপ্রতিভ গলার জবাব এল ।
- আজ্ঞে না স্যার, এটা ইতিহাসের প্রশ্ন নয়, তিনি হরিদাস - ভারী গলার জবাব এল, এই হরিদাস পাল- যে তোমাদিগকে রিপ্রেজেন্টেটিভ থেকে ফীল্ড অফিসারে প্রমোট করেছিল বোকামি করে । আজ আটাশে ফেব্রুয়ারি, আর তোমরা এখনও সত্তর পারসেন্টে আটকে !
হঠাৎ চোখের সামনে থেকে প্রায় পঁচিশ বছরের পর্দা যেন সরে গেল । এক শনিবারের সকালে যাচ্ছি কলকাতা থেকে তারকেশ্বর । ছুটির দিন, উলটো রুটের লোকালে নিত্যযাত্রীদের ভীড় নেই বললেই চলে । ভীড় আছে, তবে বেশিরভাগই বাবার থানের তীর্থযাত্রী, আমিও তাই । ভাগ্যক্রমে জানালার ধারে একটা সীটও পেয়ে গেছি । পাশে বসে বোধহয় কোনও ইতিহাসের অধ্যাপক তাঁর স্কুল-পড়ুয়া ভাগ্নেকে পেরুর ইন্কাদের বিরুদ্ধে পিজারোর নৃশংস যুদ্ধের গল্প শোনাচ্ছেন । মন্দ লাগছিল না শুনতে । কিন্তু ট্রেন শ্যাওড়াফুলি পেরোতেই একটা কার যেন হেঁড়ে গলা ভেসে এল দুটো সীটের ওপার থেকে- কি মশাই, বাচ্চা ছেলেকে লাতিন আমেরিকার ইতিহাস শোনাচ্ছেন । ভাল কথা । তবে তার আগে দেশের ইতিহাসটা জানুক ভালভাবে ।
- তার জন্যে স্কুলের পড়াই যথেষ্ট । দেশের ইতিহাসে আছে কি আর !
- কি যে বলেন স্যার? আমরা কতটুকু জানি আর বইয়েই বা কতটুকু আছে ! আপনি তো পণ্ডিত মানুষ, বলুন তো, পলাশীর যুদ্ধে সিরাজুদ্দৌলা পঞ্চাশ হাজার সৈন্য-সামন্ত নিয়েও হাজার তিন ইংরেজের কাছে হেরে গেল কি করে ?
- আর প্রশ্ন পেলেন না, এর উত্তর ত একটা জুনিয়ার স্কুলের বাচ্চাও দিতে পারে । কে না জানে মিরজাফর, জগতশেঠ আর উমিচাঁদরা ক্লাইভের সাথে হাত মিলিয়ে নবাবের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে । অধ্যাপকের সাবলীল উত্তর ।
- তাহলে সঠিক খবরটা জেনে নিন স্যার আমার কাছে । পলাশীর যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলার হার হয় মাত্র দু-টাকার জন্যে । হ্যাঁ, মাত্র দু-টাকা ।
যা ব্বাবা, লোকটা পাগল নাকি ? আমি একবার আড়চোখে লোকটার চেহারাটা দেখে নিলাম । লম্বা, রোগা, ২২-২৩ বছর বয়সের যুবক, কাঁধে ঝোলা ক্যানভাসের ব্যাগ । ছাত্র, বেকার, কম্যুনিষ্ট যা খুশী হতে পারে, চেহারায় দারিদ্র্যের ছাপ স্পষ্ট । তবে কণ্ঠস্বরে একটা জোরালো ভাব আছে । অন্য সবার শোনার উৎসাহ দেখে লোকটি বলতে শুরু করল তার গল্প ।
- ১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন, অর্থাৎ আষাঢ়মাসে মূল যুদ্ধটা হয় । যুদ্ধ শুরু হবার দু-ঘন্টার মধ্যে মীরমদন মারা যান । সে তো আপনারা নবীন সেনের বইতেই পড়েছেন-
'ছুটিল একটি গোলা রক্তিম বরণ ।
বিষম বাজিল পায়ে, সেই সাঙ্ঘাতিক ঘায়ে
ভূতলে হইল মীরমদন পতন'।
তখনি বোঝা গেল যে সিপাহ্সালার মিরজাফর বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন । মীরমদনের প্রায় ১০ হাজার সৈন্য ভয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে পালায় । তাতেও কিছু আসে যায় নি, কারণ মিরজাফরের হাতে মাত্র ১৬ হাজার সৈন্য ছিল যারা যুদ্ধ করে নি । কিন্তু বীর সেনাপতি মোহনলাল প্রায় হাজার দশেক সৈন্য আর শ-খানেক কামান নিয়ে বীরবিক্রমে এগিয়ে যায় ক্লাইভের হাজার তিনেক সেনা আর গোটাচল্লিশ কামানের তোয়াক্কা না করে । এমন সময়...
- বৃষ্টি নামল । প্রফেসর বললেন ।
- ঠিক বলেছেন স্যার । আর এখানেই মার খেয়ে গেল ফরাসি গোলন্দাজদের ভরসায় থাকা সিরাজ-বাহিনী । বৃটিশরা যখন ঠিক সময়ে তাদের কামানগুলো ত্রিপল দিয়ে মুড়ে ফেলেছে, ফরাসীরা দেখা গেল একেবারেই অপ্রস্তুত । যতক্ষনে ত্রিপল জোগাড় হল, সব কামান ভিজে চুপসে গেছে । ক্লাইভ তো ভীষণ খুশী । তবে মোহনলালও হাল ছাড়ার লোক নন । তিনি করলেন কি উত্তর-পশ্চিম প্রান্ত থেকে কিছু পদাতিক সেনাদেরকে অন্য সেনাদের আড়ালে রেখে ত্রিপল দিয়ে মুড়ে দিলেন আর তারপর কায়দা করে সামনের বাহিনীকে সরিয়ে দিলেন । এইবার ব্রিটিশদের নজরে পড়ল সারি সারি ত্রিপল মোড়া কামানগুলোর দিকে । একি, এমন তো কথা ছিল না । রাজা রাজবল্লভ কি তবে ভুল খবর দিলেন ? ক্লাইভ ভাবছেন পিছু হঠবেন কিনা ।
ঠিক সেই সময় দূরবীন হাতে ক্লাইভের মনে হল, যে বাঁ-দিকে একটা ত্রিপল একটু অস্বাভাবিকভাবে নড়ছে । ব্যস, আর যায় কোথায় । গুপ্তচর কিছুক্ষণের মধ্যেই আসল খবর এনে দিল । আর তারপরের ঘটনা তো আপনারা জানেনই ।
- কিন্তু হয়েছিল কি আসলে, একজন শ্রোতা প্রায় ব্যাকুল হয়ে প্রশ্ন করলেন ।
- কেন, ঐ সৈনিকটার দাদ হয়েছিল, চুলকুনি থামাতে পারছিল না । ততক্ষণে ব্যাগ থেকে লোকটির হাতে উঠে এসেছে একটি ছোট কৌটো । ভাবুন দেখি, মাত্র দু-টাকা দামের এই মলমটা যদি তার কাছে তখন থাকত, আজ কি ভারত পরাধীন হত !
হঠাৎ করে সবার মধ্যে মলম কেনার জন্যে হুড়োহুড়ি পড়ে গেল । কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যাগের স্টক শেষ করে তৃপ্তির নিঃশ্বাস ফেলল লোকটি । আমিও একটা নিলাম কৌতূহলবশতঃ । দেখি পাতি স্যালিসিলিক এসিড । ভাই আপনার নামটা জানতে পারি, আমি জিগ্যেস করলাম ।
- হরিদাস পাল । এই হরিপালেই বাড়ী । ইতিহাস অনার্স নিয়ে বি-এ পাস করে এই করছি । চেষ্টা করছি পড়াটা চালিয়ে যাবার ।
- না, না, আপনার ফিউচার আছে । একটা সময় আসবে যখন আপনাকে আর শুনতে হবে না 'কে হে তুমি হরিদাস পাল?'
না, আমার ভবিষ্যদ্বানী বোধহয় নির্ভুল, সেই জোরালো গলা, সেই এক কথা বলার ভঙ্গি- এ আর কেউ হতেই পারে না । আমি ধীরে ধীরে এগিয়ে গিয়ে অফিসের দরজায় 'নক্' করলাম ।
(ত্রৈমাসিক 'ট্রৈনিক' পত্রিকায় প্রকাশিত)
No comments:
Post a Comment