কি সাংঘাতিক !
আজ হ্যাংলাদেশের সেনাপতির হাতে একটা নতুন ছড়া এসেছে । তাঁর পঞ্চমশ্রেণীর পুত্রের পড়ার বইয়ে ছড়াটা ছিল । কিছু একটা সন্দেহ করেই তিনি সটান সেটা মহারানীর কাছে এনে হাজির করেছেন । ছড়াটা এরকম-
'হলদে সবুজ ওরাংওটাং, ইঁটপাটকেল চিৎপটাং ।
মুস্কিল আসান উড়েমালী, ধর্মতলা কর্মখালি ।।
গন্ধগোকুল হিজিবিজি, নো অ্যাডমিশন ভেরি বিজি
নন্দীভৃঙ্গী সারেগামা, নেই মামা তার কানা মামা ।।'
এটা শুনেই তো মহারানীর হয়ে গেছে । শিক্ষামন্ত্রীর তলব পড়েছে অর্থ বোঝাবার
জন্যে । তিনি আবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীই নন, তাঁর 'নাট্যধুরন্ধর' নামে
একটা উপাধিও আছে । তা তিনি ছড়াটার অনেকটা এরকম ব্যাখ্যা করলেন -
'হলদে সবুজ ওরাংওটাং বলতে বোঝাচ্ছে আজকালকার বহুরূপী নেতাদের যারা পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেদের বর্ণ অর্থাৎ দল পরিবর্তন করেন । কবি জনসাধারণকে আহ্বান জানাচ্ছেন এদের ধরে ইঁটপাটকেল মেরে চিৎপটাং করে ফেলার । এদেরই একজন মুস্কিল আসান হয়ে ধর্মতলার জনসন্মেলনের জন্যে এত লোক ধরে নিয়ে আসে যেন সেখানে কর্মখালির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে । এই নেতাদের গায়ে গন্ধগোকুল, অর্থাৎ ছুঁচোর মতো গন্ধ । এরা নিজেদের আপিসে বসে হিজিবিজি কি সব কাজ করে, দেখায় যেন হামেশাই ব্যস্ত । যারা সারেগামা গাইতে অর্থাৎ তাদেরকে ভজনা করতে পারেন না বা যাদের কোনও মামা বা তদবির তদারক করার কেউ নেই তারা তো এদের কাছে ঘেঁষতেই পারে না !'
'হুম! হুম! বেশ প্রতিক্রিয়াশীল,' মহারানী বললেন, 'গ্রেপ্তার কর ।'
'কাকে মহারানী?' সেনাপতি ব্যাকুল হয়ে শুধোলেন । কবি তো মারা গেছেন...তা প্রায় নব্বই বছর হল ।
'তা এই নব্বই বছর তোমরা কি ঘুমোচ্ছিলে? তার ছেলেকে ধর ।'
'সর্বনাশ! ...তিনিও ত গেছেন বহুকাল হল । তাঁর নাতি বেঁচে আছেন ম্যাডাম ।'
'ম্যাডাম আবার কি! বলেছি না, মহারানী, নাহয় বড়দি বলবে । নাতি মানে বা... না না, সে তো বেশ ভালমানুষ । আমাদের দলের প্রতি তাঁর একটা টানও আছে । কিন্তু আমারও তো একটা কর্তব্য আছে । বিদূষকদা-'
'আবার আমাকে কেন, মহারানী ? আমি গান-বাজনা করে লোক হাসাই...তাছাড়া ঐ কবি আমার গুরু, আমি তাঁর বিরুদ্ধে কিছু করতে পারবনা ।'
'হুম, তা পারবে কেন, শুধু আমার বিরোধীদের প্রশংসা করে তাদের নিয়ে গান বাঁধতে পার । ঠিক আছে, নাট্যধুরন্ধর একাই যাবেন ।'
'তা, কি করতে হবে?' শিক্ষামন্ত্রী ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞাসা করলেন ।
'সেরকম কিছু না । তাঁকে বলবে যে মহারানী তাঁর ঠাকুর্দাকে মরণোত্তর 'হ্যাংলা-রত্ন' পুরস্কার দিতে মনস্থ করেছেন...হ্যাঁ, বিগত সরকার সম্বন্ধে কিছু খাঁটি কথা লেখার জন্য...না না, শেষের কথাটা প্রেসকে জানানোর জন্যে......', বলতে বলতে মহারানীর প্রস্থান ।
'হলদে সবুজ ওরাংওটাং বলতে বোঝাচ্ছে আজকালকার বহুরূপী নেতাদের যারা পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেদের বর্ণ অর্থাৎ দল পরিবর্তন করেন । কবি জনসাধারণকে আহ্বান জানাচ্ছেন এদের ধরে ইঁটপাটকেল মেরে চিৎপটাং করে ফেলার । এদেরই একজন মুস্কিল আসান হয়ে ধর্মতলার জনসন্মেলনের জন্যে এত লোক ধরে নিয়ে আসে যেন সেখানে কর্মখালির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে । এই নেতাদের গায়ে গন্ধগোকুল, অর্থাৎ ছুঁচোর মতো গন্ধ । এরা নিজেদের আপিসে বসে হিজিবিজি কি সব কাজ করে, দেখায় যেন হামেশাই ব্যস্ত । যারা সারেগামা গাইতে অর্থাৎ তাদেরকে ভজনা করতে পারেন না বা যাদের কোনও মামা বা তদবির তদারক করার কেউ নেই তারা তো এদের কাছে ঘেঁষতেই পারে না !'
'হুম! হুম! বেশ প্রতিক্রিয়াশীল,' মহারানী বললেন, 'গ্রেপ্তার কর ।'
'কাকে মহারানী?' সেনাপতি ব্যাকুল হয়ে শুধোলেন । কবি তো মারা গেছেন...তা প্রায় নব্বই বছর হল ।
'তা এই নব্বই বছর তোমরা কি ঘুমোচ্ছিলে? তার ছেলেকে ধর ।'
'সর্বনাশ! ...তিনিও ত গেছেন বহুকাল হল । তাঁর নাতি বেঁচে আছেন ম্যাডাম ।'
'ম্যাডাম আবার কি! বলেছি না, মহারানী, নাহয় বড়দি বলবে । নাতি মানে বা... না না, সে তো বেশ ভালমানুষ । আমাদের দলের প্রতি তাঁর একটা টানও আছে । কিন্তু আমারও তো একটা কর্তব্য আছে । বিদূষকদা-'
'আবার আমাকে কেন, মহারানী ? আমি গান-বাজনা করে লোক হাসাই...তাছাড়া ঐ কবি আমার গুরু, আমি তাঁর বিরুদ্ধে কিছু করতে পারবনা ।'
'হুম, তা পারবে কেন, শুধু আমার বিরোধীদের প্রশংসা করে তাদের নিয়ে গান বাঁধতে পার । ঠিক আছে, নাট্যধুরন্ধর একাই যাবেন ।'
'তা, কি করতে হবে?' শিক্ষামন্ত্রী ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞাসা করলেন ।
'সেরকম কিছু না । তাঁকে বলবে যে মহারানী তাঁর ঠাকুর্দাকে মরণোত্তর 'হ্যাংলা-রত্ন' পুরস্কার দিতে মনস্থ করেছেন...হ্যাঁ, বিগত সরকার সম্বন্ধে কিছু খাঁটি কথা লেখার জন্য...না না, শেষের কথাটা প্রেসকে জানানোর জন্যে......', বলতে বলতে মহারানীর প্রস্থান ।
No comments:
Post a Comment