কৃষ্ণের ফল খাওয়া ।।
দ্বিজহরি দাস
দ্বিজহরি দাস
অবগতি শুন কিছু নিবেদন করি,
গোকুলে আনিল ফল এক মাগী বুড়ি
একটা ঝুড়ি হাতে ।
একটা ঝুড়ি হাতে, বসল পথে ফল গুচ্ছেক ঢেলে
ফল খাওসে, ফল খাওসে, ডাকে যত গোপের ছেলে
বাপু তোরা দৌড়ে আয়, বুড়ি তায় ডাকছে ঘনে ঘন-
শ্রীদাম বলে সুদাম ভায়া, বুড়ি ডাকছে কেন
কিছু তার বৃত্তান্ত -
কিছু তার বৃত্তান্ত বলে আনত, শোনরে গুণের ভাই,
বুড়ি কেন ডাকছে চল গুটি গুটি যাই,
চলিলেন সবে মিলে ।
চলিলেন সবে মিলে, গোপের ছেলে, মণ্ডা মুখের হাসি
পথের মাঝে ঝুড়ি হাতে যেথায় বুড়ি বসি
ধর গো ধর মুখে ।
ধর গো ধর মুখে, খাও সুখে, খেয়ে পাবে তার
মায়ের কাছে বুঝে আনবে ধার ।
চল মা আমার সাথে, ব্রজের পথে কিনে দিবি সে ফল,
দিবি কি না দিবি রানী তুই সত্যি করে বল
নতুবা তার উপায় করি -
নতুবা তার উপায় করি, ভাঙব হাঁড়ি, ভাঙব দুধের হালা
দুধ গড়িয়ে যাবে যখন তখন পাবি জ্বালা
এই বলে কাঁদেন হরি ।
এই বলে কাঁদেন হরি, দাও মা কড়ি, কাঁদেন যাদব রায়,
লোকের ছেলে মাকে বলে কত কিনে খায় ।
বাবা তুমি কেমন কথা বললে হেথা আমায় দিয়ে দোষ-
পাকা পাকা ফল আনিবেন ঘরকে আসুন ঘোষ,
আসুন নন্দ, কৃষ্ণচন্দ্র, ফল আনিবেন পাড়ি-
কেন বাবা গোপের ঘরের মজাইবে কড়ি ?
খাওসে ক্ষীরননী ।
খাও সে ক্ষীরননী, যাদুমণি, খেলি ডাক, সবে কর খেলা,
ঘর রইল, দুয়ার রইল, ধান রইল মেলা ।
আমি তো যাব জলে-
আমি তো যাব জলে, রানী বলে, কুম্ভ হাতে, যমুনাতে আনতে যাব জল-
দ্বিজহরি দাসে গাহে, ঠাকুর খাবেন ফল ।
* * *
লয়ে দুটি ধান্যকণা চলেন হরি যেথায় বুড়ির থান,
সন্তুষ্ট হল বুড়ি দেখে ভগবান ।
বাবা তুমি কাদের ছেলে, কাছে এলে এমন চাঁদের কণা,
যতগুলি ধান্য দিলে, সকলি হল সোনা ।
তুমি মানুষ নও, দেবতা হও, সকল দেবের সার,
পূর্ণব্রহ্ম গোপের ঘরে হলেন অবতার ।।
গোকুলে আনিল ফল এক মাগী বুড়ি
একটা ঝুড়ি হাতে ।
একটা ঝুড়ি হাতে, বসল পথে ফল গুচ্ছেক ঢেলে
ফল খাওসে, ফল খাওসে, ডাকে যত গোপের ছেলে
বাপু তোরা দৌড়ে আয়, বুড়ি তায় ডাকছে ঘনে ঘন-
শ্রীদাম বলে সুদাম ভায়া, বুড়ি ডাকছে কেন
কিছু তার বৃত্তান্ত -
কিছু তার বৃত্তান্ত বলে আনত, শোনরে গুণের ভাই,
বুড়ি কেন ডাকছে চল গুটি গুটি যাই,
চলিলেন সবে মিলে ।
চলিলেন সবে মিলে, গোপের ছেলে, মণ্ডা মুখের হাসি
পথের মাঝে ঝুড়ি হাতে যেথায় বুড়ি বসি
ধর গো ধর মুখে ।
ধর গো ধর মুখে, খাও সুখে, খেয়ে পাবে তার
মায়ের কাছে বুঝে আনবে ধার ।
চল মা আমার সাথে, ব্রজের পথে কিনে দিবি সে ফল,
দিবি কি না দিবি রানী তুই সত্যি করে বল
নতুবা তার উপায় করি -
নতুবা তার উপায় করি, ভাঙব হাঁড়ি, ভাঙব দুধের হালা
দুধ গড়িয়ে যাবে যখন তখন পাবি জ্বালা
এই বলে কাঁদেন হরি ।
এই বলে কাঁদেন হরি, দাও মা কড়ি, কাঁদেন যাদব রায়,
লোকের ছেলে মাকে বলে কত কিনে খায় ।
বাবা তুমি কেমন কথা বললে হেথা আমায় দিয়ে দোষ-
পাকা পাকা ফল আনিবেন ঘরকে আসুন ঘোষ,
আসুন নন্দ, কৃষ্ণচন্দ্র, ফল আনিবেন পাড়ি-
কেন বাবা গোপের ঘরের মজাইবে কড়ি ?
খাওসে ক্ষীরননী ।
খাও সে ক্ষীরননী, যাদুমণি, খেলি ডাক, সবে কর খেলা,
ঘর রইল, দুয়ার রইল, ধান রইল মেলা ।
আমি তো যাব জলে-
আমি তো যাব জলে, রানী বলে, কুম্ভ হাতে, যমুনাতে আনতে যাব জল-
দ্বিজহরি দাসে গাহে, ঠাকুর খাবেন ফল ।
* * *
লয়ে দুটি ধান্যকণা চলেন হরি যেথায় বুড়ির থান,
সন্তুষ্ট হল বুড়ি দেখে ভগবান ।
বাবা তুমি কাদের ছেলে, কাছে এলে এমন চাঁদের কণা,
যতগুলি ধান্য দিলে, সকলি হল সোনা ।
তুমি মানুষ নও, দেবতা হও, সকল দেবের সার,
পূর্ণব্রহ্ম গোপের ঘরে হলেন অবতার ।।
No comments:
Post a Comment