টু ফর জয়!
(অণুগল্প)
(অণুগল্প)
-এই যে, তুই এখানে! আমি খুঁজে খুঁজে হয়রান।
- কেন রে বাবা, সাতসকালে কিসের কাজ পড়ল? এক মিনিট, ফড়িংটাকে তাক করেছি, নড়াচড়া করলেই ফস্কে যাবে।
- এই রাক্কস! সকাল সকাল এত খিদে কিসের? ফড়িংগুলো দিব্যি খেলছে, কিছুক্ষণ আনন্দে খেলতে দে না বাপু।
- তা কোথায় যেতে হবে? খাবার পাওয়া যাবে?
- হ্যাঁ রে পেটুক! তিন্নিদের বারান্দায়। অনেক গম ছড়িয়ে রেখে মেয়েটা চোখ বুজে দুই শালিক, দুই শালিক করে যাচ্ছে।
- সে কি রে, ফাঁদ নয় তো? আরে আমরা তো আর শালিক নই!
- আমরা শালিক না ময়না সে আর তিন্নি কি বুঝছে? ও দুটো পাখি দেখতে পেলেই খুশি। আজকে ওর স্কুলে পরীক্ষা যে!
- এই, তুই মানুষের বাচ্চাদের এত খবর কোথায় পাস রে? দিনরাত গমের লোভে হাউসিং সোসাইটিগুলোতে ঘোরাঘুরি করিস। কোন দিন জালে ধরা পড়বি সেদিন বুঝবি! খাঁচার মধ্যে রাধেকৃষ্ণ গেয়েই জীবন যাবে। চল, দেখি কোথায় তোর তিন্নি।
দুটি ময়না উড়ে গিয়ে এসে বসল তিন্নিদের ব্যালকনির ধারিতে।
- কেন রে বাবা, সাতসকালে কিসের কাজ পড়ল? এক মিনিট, ফড়িংটাকে তাক করেছি, নড়াচড়া করলেই ফস্কে যাবে।
- এই রাক্কস! সকাল সকাল এত খিদে কিসের? ফড়িংগুলো দিব্যি খেলছে, কিছুক্ষণ আনন্দে খেলতে দে না বাপু।
- তা কোথায় যেতে হবে? খাবার পাওয়া যাবে?
- হ্যাঁ রে পেটুক! তিন্নিদের বারান্দায়। অনেক গম ছড়িয়ে রেখে মেয়েটা চোখ বুজে দুই শালিক, দুই শালিক করে যাচ্ছে।
- সে কি রে, ফাঁদ নয় তো? আরে আমরা তো আর শালিক নই!
- আমরা শালিক না ময়না সে আর তিন্নি কি বুঝছে? ও দুটো পাখি দেখতে পেলেই খুশি। আজকে ওর স্কুলে পরীক্ষা যে!
- এই, তুই মানুষের বাচ্চাদের এত খবর কোথায় পাস রে? দিনরাত গমের লোভে হাউসিং সোসাইটিগুলোতে ঘোরাঘুরি করিস। কোন দিন জালে ধরা পড়বি সেদিন বুঝবি! খাঁচার মধ্যে রাধেকৃষ্ণ গেয়েই জীবন যাবে। চল, দেখি কোথায় তোর তিন্নি।
দুটি ময়না উড়ে গিয়ে এসে বসল তিন্নিদের ব্যালকনির ধারিতে।
তিন্নি ব্যাগ হাতে চোখ বুজে অপেক্ষা করছিল। ওর মা পাখিদুটোকে দেখে ওর মাথায় একটা টোকা মারতেই ও চোখ খুলল। 'টু ফর জয়! টু ফর জয়!' হাততালি দিয়ে নেচে উঠল তিন্নি।
ময়না দুটো তখন একমনে গম খুঁটে যাচ্ছে।
No comments:
Post a Comment