অপ্রকাশিত ।।
এবার শ্রী বাদল চক্রবর্তী রবীন্দ্রনাথের একটি অপ্রকাশিত কবিতা পড়ে শোনাবেন- রবীন্দ্র-জয়ন্তী অনুষ্ঠানের মাঝে ঘোষনা হল । চুল উস্কোখুস্কো, গালে দাড়ির আগাছা জঙ্গল, কাঁধে ঝোলা নিয়ে বাদল এগিয়ে এলো মাইকের সামনে । কবিতা-পাঠ শুরু হল -
'জ্বালব আগুন, আনব ফাগুন
হে দেশপ্রেমিক, এগিয়ে এসো-
শুষ্ক-মরু ভরবে ফুলে
দেশকে শুধু ভালবেসো ।
আর যারা সব নেতা সেজে
সবার চোখে ধূলো হানে
মুখোশ তাদের সামনে সবার
ফেলব খুলে হেঁচ্কা টানে ......
...........................
কবিতা চলছে । আমরা ভাবছি, রবি ঠাকুর এধরনের লেখা তো সচরাচর লিখতেন না । নজরুলের নয় তো ? ততক্ষণে বাদলের গলা চড়েই চলেছে...
'... মারব জুতো তাদের মুখে -
পড়বে ঝরে রক্তধারা-
মারব লাথি তাদের পাছায়
মানুষ সেজে বেড়ায় যারা...'
এতক্ষনে কর্মকর্তাদের খেয়াল হয়েছে কি ভুল তাঁরা করে ফেলেছেন । কবির মুখ চেপে ধরে তাকে চ্যাং-দোলা করে বার করা হল ষ্টেজের বাইরে । 'পাগল চক্রবর্তী যুগ যুগ জিও', 'কি দিলে গুরু' থেকে 'শালা পাগলাটাকে ষ্টেজে কে চাপতে দিল' ইত্যাদি কমেন্ট ভেসে আসছে শ্রোতাদের মধ্যে থেকে । বাদলকে প্রায় সবাই চেনে, ঘোষক বেচারাই সহরে নতুন !
পরদিন আড্ডায় বাদল যথারীতি হাজির । নির্বিকার, লাজলজ্জাহীন মুখ । 'কাল কিরকম দিলাম, দেখলি কমরেড? পুরো পাব্লিক খুশিতে খেপে গেছিল ।'
'হ্যাঁ, তোর প্রাণটাই কোনমতে বেঁচে ফিরেছে । শালা, রবি ঠাকুরের লেখা পড়ছিলি !'
'নো খিস্তি কমরেড । খিস্তি শুধু তাদের দিও, মানুষ সেজে বেড়ায় যারা । বাদল চক্কোত্তির লেখা বললে আমাকে কেউ উঠতে দিত ষ্টেজে !' এই বলে প্রাণখোলা হাসি হাসতে হাসতে উধাও হয়ে গেল বাদল ।
গতবছর দেখা হয়েছিল বাদলের সাথে । সে তখন পুরোপুরিই পাগল ।
এবার শ্রী বাদল চক্রবর্তী রবীন্দ্রনাথের একটি অপ্রকাশিত কবিতা পড়ে শোনাবেন- রবীন্দ্র-জয়ন্তী অনুষ্ঠানের মাঝে ঘোষনা হল । চুল উস্কোখুস্কো, গালে দাড়ির আগাছা জঙ্গল, কাঁধে ঝোলা নিয়ে বাদল এগিয়ে এলো মাইকের সামনে । কবিতা-পাঠ শুরু হল -
'জ্বালব আগুন, আনব ফাগুন
হে দেশপ্রেমিক, এগিয়ে এসো-
শুষ্ক-মরু ভরবে ফুলে
দেশকে শুধু ভালবেসো ।
আর যারা সব নেতা সেজে
সবার চোখে ধূলো হানে
মুখোশ তাদের সামনে সবার
ফেলব খুলে হেঁচ্কা টানে ......
...........................
কবিতা চলছে । আমরা ভাবছি, রবি ঠাকুর এধরনের লেখা তো সচরাচর লিখতেন না । নজরুলের নয় তো ? ততক্ষণে বাদলের গলা চড়েই চলেছে...
'... মারব জুতো তাদের মুখে -
পড়বে ঝরে রক্তধারা-
মারব লাথি তাদের পাছায়
মানুষ সেজে বেড়ায় যারা...'
এতক্ষনে কর্মকর্তাদের খেয়াল হয়েছে কি ভুল তাঁরা করে ফেলেছেন । কবির মুখ চেপে ধরে তাকে চ্যাং-দোলা করে বার করা হল ষ্টেজের বাইরে । 'পাগল চক্রবর্তী যুগ যুগ জিও', 'কি দিলে গুরু' থেকে 'শালা পাগলাটাকে ষ্টেজে কে চাপতে দিল' ইত্যাদি কমেন্ট ভেসে আসছে শ্রোতাদের মধ্যে থেকে । বাদলকে প্রায় সবাই চেনে, ঘোষক বেচারাই সহরে নতুন !
পরদিন আড্ডায় বাদল যথারীতি হাজির । নির্বিকার, লাজলজ্জাহীন মুখ । 'কাল কিরকম দিলাম, দেখলি কমরেড? পুরো পাব্লিক খুশিতে খেপে গেছিল ।'
'হ্যাঁ, তোর প্রাণটাই কোনমতে বেঁচে ফিরেছে । শালা, রবি ঠাকুরের লেখা পড়ছিলি !'
'নো খিস্তি কমরেড । খিস্তি শুধু তাদের দিও, মানুষ সেজে বেড়ায় যারা । বাদল চক্কোত্তির লেখা বললে আমাকে কেউ উঠতে দিত ষ্টেজে !' এই বলে প্রাণখোলা হাসি হাসতে হাসতে উধাও হয়ে গেল বাদল ।
গতবছর দেখা হয়েছিল বাদলের সাথে । সে তখন পুরোপুরিই পাগল ।
No comments:
Post a Comment