কোনিক ।।
আমি ছিলাম একটি বিন্দুর সঞ্চারপথ।
জীবনের কেন্দ্রে ছিল আর একটি বিন্দু, তিনিই বুঝি ঈশ্বর!
অর্ধেক জীবন আবর্তনে কেটে গেল,
ঈশ্বরের থেকে আমার দূরত্ব কিন্তু একই রয়ে গেল।
তারপর কেন্দ্রবিন্দু হল দুখানা, নাম দিলাম ফোকাস
দুটি রেখা, তাদেরকে বলা হল ডাইরেক্ট্রিক্স ।
ধর্মের চেয়ে আমি ঈশ্বরের বেশী কাছে এসেছি
দুই ঈশ্বরকে সূর্য মনে করে প্রদক্ষিণ করে চলেছি
এক উপবৃত্তীয় পথে। বুঝতে পারি না,
কোনটা জীবনের ধর্ম, আর কোনটা পাপ-পুণ্যের ।
তাই শেষে সরিয়ে দিলাম একটি করে বিন্দু ও রেখাকে।
ভাবি বুঝি এবার দেখা মিলবে কাঙ্ক্ষিতের ।
তা হল না, আমি চলতে থাকলাম-
ধর্ম ও ঈশ্বরের সাথে সমান দূরত্ব রেখে।
আমার নতুন নামকরণ হল 'প্যারাবোলা',
ঈশ্বর ও ধর্ম দুইই থাকল অধরা হয়ে।
ক্রমে ঈশ্বর থেকে আমার ব্যবধান বাড়তে থাকে।
নাস্তিকেরা উল্লসিত হতে থাকে-
বিশ্বাসীরা টিটকিরি দেয়্
ঐ যায় 'হাইপারবোলা' বলে।
তাই বুঝি আমি অনন্তেই মিলিয়ে গেলাম,
আর কখনও ফিরব না, মিলব না কারো সাথে।
কেউ কি পেয়েছ খুঁজে কেন্দ্রাভিমুখী পথটিকে?
আমায় তার ঠিকানা দিতে পার?
মুম্বাই, ১১ই মে, ২০১৫
দুটি রেখা, তাদেরকে বলা হল ডাইরেক্ট্রিক্স ।
ধর্মের চেয়ে আমি ঈশ্বরের বেশী কাছে এসেছি
দুই ঈশ্বরকে সূর্য মনে করে প্রদক্ষিণ করে চলেছি
এক উপবৃত্তীয় পথে। বুঝতে পারি না,
কোনটা জীবনের ধর্ম, আর কোনটা পাপ-পুণ্যের ।
তাই শেষে সরিয়ে দিলাম একটি করে বিন্দু ও রেখাকে।
ভাবি বুঝি এবার দেখা মিলবে কাঙ্ক্ষিতের ।
তা হল না, আমি চলতে থাকলাম-
ধর্ম ও ঈশ্বরের সাথে সমান দূরত্ব রেখে।
আমার নতুন নামকরণ হল 'প্যারাবোলা',
ঈশ্বর ও ধর্ম দুইই থাকল অধরা হয়ে।
ক্রমে ঈশ্বর থেকে আমার ব্যবধান বাড়তে থাকে।
নাস্তিকেরা উল্লসিত হতে থাকে-
বিশ্বাসীরা টিটকিরি দেয়্
ঐ যায় 'হাইপারবোলা' বলে।
তাই বুঝি আমি অনন্তেই মিলিয়ে গেলাম,
আর কখনও ফিরব না, মিলব না কারো সাথে।
কেউ কি পেয়েছ খুঁজে কেন্দ্রাভিমুখী পথটিকে?
আমায় তার ঠিকানা দিতে পার?
মুম্বাই, ১১ই মে, ২০১৫
No comments:
Post a Comment