Sunday, April 15, 2018

খেলা, আমি নেই।। কবিতা

খেলা।

পাখিটা বুনেছে বাসা গাছের কোটরে,
খড়কুটো, লতাগুল্ম এটা-ওটা ভরে
শিল্পশোভার কি অবাক নিদর্শন
দেখে মন শান্ত হয়ে থাকে কতক্ষণ?
...
চাকরকে পাঠালেম, গাছের উপরে
বাসাটা কোটর থেকে নিয়ে এল পেড়ে।
খানদুই ডিম ছিল, কী হবে তা দিয়ে!
দিই ফেলে, বাসাখানা যত্নে আসি নিয়ে।

বাবুই পাখির বাসা আমার দেয়ালে
শোভা পায়, আমি থাকি আপন খেয়ালে,
হরিণের ট্যাক্সিডার্মি, বাঘছাল খানা
আছে গজদন্ত বান্দীপুর হ'তে আনা।

এ খেলা সবাই খেলে সারা দুনিয়ায়
তোমার কষ্টে মোর কী বা আসে যায়!
তোমার প্রাণের চিন্তা, আমার দেয়ালা
চিরকাল ধরে চলে এ করুণ খেলা।


আমি নেই।

আমি নেই এ জগতে, ট্রামখানা চলে গেছে
চুকিয়ে তাহার ঋণ। কখন-
তা বলে তো থেমে নেই কিছু!
অবশ্য হয়েছে কিছু অদলবদল কিছু ইতরবিশেষ;
কার্তিক মাসের মাঠে মহীনের ঘোড়াগুলি
খেত ঘাস, আজ তারা নেই।
মহীন চালায় অটো উল্টোডাঙার রুটে-
ভুলে গেছে , আজকাল চেনে না আমাকে!
ধানসিঁড়ি কোথা কে বা জানে, মনে নেই,
জানি আছে ইছামতী-বিদ্যাধরী-হোগল-মাতলা।
শঙ্খচিল, সোনালি ডানার চিল-
নিশ্চিন্তে উড়ে করে এপার ওপার।
সন্ধ্যা নামে।
ডানায় রোদের গন্ধ মুছে ফেলে চিল।
খেটে খাওয়া মজুরের দল বর্ডারের সেপাইকে প্রণামীটা দিয়ে ফেরে ঘর কাঁটাতার পারে,
পাশে আজ নেই কেউ। তবু ভাবি সেকি বসে আছে
নাটোরের আত্রাই নদীর তীরে? সব ভুল-
কেউ বসে নেই!

No comments:

Post a Comment