বইমেলার গপ্পো-সপ্পো ।। চার বছর আগে
কিভাবে জানিনা রোব্বার দুপুরে পৌঁছে গেলাম কলকাতা বইমেলায় । সাথে ছোটভাই শংকর ও খুদে ভাইপো- 'দেব'এর চাঁদের পাহাড় কিনতে চায় । 'মিলন মেলা' স্টপে নেবে দেখি ধুন্ধুমার কাণ্ড, বাইপাস থেকে সায়েন্স সিটি পর্যন্ত অজস্র বইয়ের ভীড়, মিনি বইমেলা বল্লেও কম বলা হয়- একশো টাকায় রামায়ণ-মহাভারত-বঙ্কিম-শরৎ, ত্রিশ টাকায় দেব, সিংহ ও কিলিমাঞ্জারোর ছবিসহ চাঁদের পাহাড়, কি নেই ? যা হোক, ভীড়... ঠেলে কোনমতে ভেতরে ঢোকা গেল ।
আমরা, অর্থাৎ মুম্বাইয়ের লোকেরা কলকাতা বইমেলার ব্যাপারে রীতিমতো গাঁইয়া । শুনেছিলাম, 'আগামীকাল'এ আমাদের রঞ্জনদার অনুগল্প বেরিয়েছে, ভাবলাম, অভীক দত্তর নাম করলেই কেউ দেখিয়ে দেবে । কে চেনে কাকে! যাক, ম্যাপ দেখে মোটামুটি সব খুঁজে পেলাম । 'চলো যাই' পেলাম, ভেবেছিলাম, দোলনচাঁপাকেও দেখতে পাব, ছিল না । ব্যস্ত মানুষ, না থাকাই স্বাভাবিক । খুঁজে খুঁজে রামকৃষ্ণদার 'দোতালা বাস...', অমিতাভর 'হাফ সেঞ্চুরি...' ও দোয়েলপাখি সম্পাদিত 'রসাতল'ও পেয়ে গেলাম ও কিনে ফেললাম একটা করে । ক্রমে ব্যাগ ভরে উঠল বইপত্তরে । ভাই এবার ফেরার তাড়া দিতে শুরু করল ।
'সাহিত্যম্'এর স্টলে শংকরের লেখা নতুন বই 'অবিশ্বাস্য বিবেকানন্দ' এককপি নিয়ে বেরোচ্ছি, একজন দেখে বললেন, 'ও মশাই, লেখক বসে আছেন স্টলের এককোনায়, বইতে সই করিয়ে নিতে পারেন । আমি দেখলাম, ভাই একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছে । ভাবি ওকে ডেকে জানিয়ে দি- শংকর, শংকর বলে ডাক দিলাম । হঠাৎ দেখি আমার প্রিয় সাহিত্যিক বেরিয়ে এসে দাঁড়িয়ে আছেন আমার সামনে- 'আমায় ডাকছেন ?'
কি লজ্জা, এটা তো ভাবি নি । একটা প্রণাম করে বইখানা এগিয়ে দিলাম । উনি মৃদু হেসে সই করে দিলেন । গতবার শ্রী বুদ্ধদেব গুহকে পেয়েছিলাম, এটাই ছিল এবারের মেলায় আমার বিশেষ পাওনা ।
কিভাবে জানিনা রোব্বার দুপুরে পৌঁছে গেলাম কলকাতা বইমেলায় । সাথে ছোটভাই শংকর ও খুদে ভাইপো- 'দেব'এর চাঁদের পাহাড় কিনতে চায় । 'মিলন মেলা' স্টপে নেবে দেখি ধুন্ধুমার কাণ্ড, বাইপাস থেকে সায়েন্স সিটি পর্যন্ত অজস্র বইয়ের ভীড়, মিনি বইমেলা বল্লেও কম বলা হয়- একশো টাকায় রামায়ণ-মহাভারত-বঙ্কিম-শরৎ, ত্রিশ টাকায় দেব, সিংহ ও কিলিমাঞ্জারোর ছবিসহ চাঁদের পাহাড়, কি নেই ? যা হোক, ভীড়... ঠেলে কোনমতে ভেতরে ঢোকা গেল ।
আমরা, অর্থাৎ মুম্বাইয়ের লোকেরা কলকাতা বইমেলার ব্যাপারে রীতিমতো গাঁইয়া । শুনেছিলাম, 'আগামীকাল'এ আমাদের রঞ্জনদার অনুগল্প বেরিয়েছে, ভাবলাম, অভীক দত্তর নাম করলেই কেউ দেখিয়ে দেবে । কে চেনে কাকে! যাক, ম্যাপ দেখে মোটামুটি সব খুঁজে পেলাম । 'চলো যাই' পেলাম, ভেবেছিলাম, দোলনচাঁপাকেও দেখতে পাব, ছিল না । ব্যস্ত মানুষ, না থাকাই স্বাভাবিক । খুঁজে খুঁজে রামকৃষ্ণদার 'দোতালা বাস...', অমিতাভর 'হাফ সেঞ্চুরি...' ও দোয়েলপাখি সম্পাদিত 'রসাতল'ও পেয়ে গেলাম ও কিনে ফেললাম একটা করে । ক্রমে ব্যাগ ভরে উঠল বইপত্তরে । ভাই এবার ফেরার তাড়া দিতে শুরু করল ।
'সাহিত্যম্'এর স্টলে শংকরের লেখা নতুন বই 'অবিশ্বাস্য বিবেকানন্দ' এককপি নিয়ে বেরোচ্ছি, একজন দেখে বললেন, 'ও মশাই, লেখক বসে আছেন স্টলের এককোনায়, বইতে সই করিয়ে নিতে পারেন । আমি দেখলাম, ভাই একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছে । ভাবি ওকে ডেকে জানিয়ে দি- শংকর, শংকর বলে ডাক দিলাম । হঠাৎ দেখি আমার প্রিয় সাহিত্যিক বেরিয়ে এসে দাঁড়িয়ে আছেন আমার সামনে- 'আমায় ডাকছেন ?'
কি লজ্জা, এটা তো ভাবি নি । একটা প্রণাম করে বইখানা এগিয়ে দিলাম । উনি মৃদু হেসে সই করে দিলেন । গতবার শ্রী বুদ্ধদেব গুহকে পেয়েছিলাম, এটাই ছিল এবারের মেলায় আমার বিশেষ পাওনা ।
No comments:
Post a Comment