সিলেটি রামায়ণ ।।
(সংকলিত)
কবি- সুন্দরীমোহন দাস
ঔ দেখ সূর্য্য উঠইন বিয়ানির বেলা ।
হৌ গুষ্টির দশরথ, রাজা বড় ভালা ।।
তিন বিয়া করছলা রাজার কপাল পুড়িয়া ।
... এক রাণিরও অইল না এক গুয়াও পুয়া ।।
কুবাইতনে আইলা মুনি রাজার অন্দর ।
অভিশাপ দিবার ছলে তাইন দিলা বর ।।
গাট্টা গাট্টা চাইর পুয়া অইল রাজার ঘর ।
বড় রাণির পুয়া রাম, ভরত মাইঝলা্জনর অইন ।।
হরু রাণির দুই পুয়া, শত্রুঘ্ন আর লক্ষইণ ।
দশরথে আইজ্ঞা দিলা, রাম অইবা রাজা ।
শুনিয়া সুখি অইলা, রাজ্যের যত প্রজা ।।
কেকৈর বাপের বাড়ীর বান্দি কপাল পুড়া ।
পিঠ যেলা মনও ওলা, ধনুর লাখান তেড়া ।।
কেকৈরে কইলা গিয়া, রাম রাজা অইত ।
তোর ছাওয়াল ভরত বুঝি ক্ষুদের জাউ খাইত ।
বড় পুয়া রাজা অইলে তুইন অইবে বান্দি ।।
গুসা করি উপাস থাকি পড় গিয়া কান্দি ।
ইতা হুনি কেকৈর মাথা চৌরঙ্গি দিলাইল ।।
গুসা করি উপাস থাকি মাটির উপর হুইল ।
দশরথে দেখি কইলা, ইতা কর কিতা ।।
ঔ দন্ডে দিতাম পারি, তুমি চাও যেতা ।
কেকৈয়ে এ কইলা তেউ রামরে পাঠাও বনে ।।
আমার ছাওয়াল ভরতরে বওয়াও সিংহাসনে ।
কেকৈর কথা হুনি রাজা গলি গেলা ।
কইলা, কান্দিও না গো সুনা, করমু ওলা তুমি চাও যেলা ।।
রাম গেলা বনবাস, ভরত বড় বুকা ।
বওইলা সিংহাসনে তাইন, রামর পাদুকা ।।
বাগে পাইয়া বউ, চুরি করলা রাবন ।
বান্দরর লগে রামে করইন যুদ্ধর আয়োজন ।।
বুদ্ধিমানে জাম্বুবানে কইন লও ঠেলা ।
লঙ্কাত যাইতায় কুন হালার হালা ।।
ফাল মারি হনুমান অইলা সাগর পার ।
লেইনজত্ আগুন বান্ধি করলা লঙ্কা ছারখার ।।
ইবাইদি বান্দর হকল বানাইল এক পুল ।
রাক্ষসে বান্দরে যুদ্ধ লাগলো তুমুল ।।
রাবনর রাক্ষস বংশ উজার করিয়া ।
হুককু হুককু করে বান্দর লেইনজ নাচাইয়া ।।
বান্দর গুষ্টি লইয়া রাম যুদ্ধ করইন ভীষণ ।
রাবন মারি আইনলা সীতা ঔত � রামায়ণ ।।
(সংকলিত)
কবি- সুন্দরীমোহন দাস
ঔ দেখ সূর্য্য উঠইন বিয়ানির বেলা ।
হৌ গুষ্টির দশরথ, রাজা বড় ভালা ।।
তিন বিয়া করছলা রাজার কপাল পুড়িয়া ।
... এক রাণিরও অইল না এক গুয়াও পুয়া ।।
কুবাইতনে আইলা মুনি রাজার অন্দর ।
অভিশাপ দিবার ছলে তাইন দিলা বর ।।
গাট্টা গাট্টা চাইর পুয়া অইল রাজার ঘর ।
বড় রাণির পুয়া রাম, ভরত মাইঝলা্জনর অইন ।।
হরু রাণির দুই পুয়া, শত্রুঘ্ন আর লক্ষইণ ।
দশরথে আইজ্ঞা দিলা, রাম অইবা রাজা ।
শুনিয়া সুখি অইলা, রাজ্যের যত প্রজা ।।
কেকৈর বাপের বাড়ীর বান্দি কপাল পুড়া ।
পিঠ যেলা মনও ওলা, ধনুর লাখান তেড়া ।।
কেকৈরে কইলা গিয়া, রাম রাজা অইত ।
তোর ছাওয়াল ভরত বুঝি ক্ষুদের জাউ খাইত ।
বড় পুয়া রাজা অইলে তুইন অইবে বান্দি ।।
গুসা করি উপাস থাকি পড় গিয়া কান্দি ।
ইতা হুনি কেকৈর মাথা চৌরঙ্গি দিলাইল ।।
গুসা করি উপাস থাকি মাটির উপর হুইল ।
দশরথে দেখি কইলা, ইতা কর কিতা ।।
ঔ দন্ডে দিতাম পারি, তুমি চাও যেতা ।
কেকৈয়ে এ কইলা তেউ রামরে পাঠাও বনে ।।
আমার ছাওয়াল ভরতরে বওয়াও সিংহাসনে ।
কেকৈর কথা হুনি রাজা গলি গেলা ।
কইলা, কান্দিও না গো সুনা, করমু ওলা তুমি চাও যেলা ।।
রাম গেলা বনবাস, ভরত বড় বুকা ।
বওইলা সিংহাসনে তাইন, রামর পাদুকা ।।
বাগে পাইয়া বউ, চুরি করলা রাবন ।
বান্দরর লগে রামে করইন যুদ্ধর আয়োজন ।।
বুদ্ধিমানে জাম্বুবানে কইন লও ঠেলা ।
লঙ্কাত যাইতায় কুন হালার হালা ।।
ফাল মারি হনুমান অইলা সাগর পার ।
লেইনজত্ আগুন বান্ধি করলা লঙ্কা ছারখার ।।
ইবাইদি বান্দর হকল বানাইল এক পুল ।
রাক্ষসে বান্দরে যুদ্ধ লাগলো তুমুল ।।
রাবনর রাক্ষস বংশ উজার করিয়া ।
হুককু হুককু করে বান্দর লেইনজ নাচাইয়া ।।
বান্দর গুষ্টি লইয়া রাম যুদ্ধ করইন ভীষণ ।
রাবন মারি আইনলা সীতা ঔত � রামায়ণ ।।
(Soujanya: Devashis Datta)
গান-আবৃত্তি-অভিনয়
হবে ব্যাক-স্টেজ থেকে। কিন্তু এটা কি করা উচিত, পরামর্শ নিতে ছুটলাম
বিলুকাকুর কাছে। ওনার বাবা বিশ্বভারতীর অধ্যাপক ছিলেন, পুরো শান্তিনিকেতনীয়
পরিবেশে মানুষ, তিনি শুনে বললেন, এরকম তো হয় বলে শুনিনি। যদিও
তাসের দেশ গুরুদেবের শেষ বয়সের রচনা, তবু মনে আছে, নন্দলাল, শান্তিদেব,
দিনুদা, অমিতাদি, মোহরদি এনারা নাচ গান অভিনয় সব একসাথে করতেন।
পরে গানের দল আলাদা হলো। মনে পড়ে তাসের দেশের রিহার্সেলে জর্জদার
উদ্দাম 'বাঁধ ভেঙ্গে দাও' এর সাথে কেলু নায়ার ছাড়া আর কেউই নাচতে
পারছিলেন না, শেষমেষ গানটার থেকে শান্তিদা জর্জদাকেই বাদ দিয়ে
দিলেন। যাহোক, ওনার সামনে নীতা আর ওনার মেয়ে বুড়ি রাজপুত্র-সদাগরের
অভিনয় করে দেখল, সাথে ভুট্টা-তীর্থর সংলাপ, দেখে বিলুকাকু মুগ্ধ।
বা:, এটা তো বেশ হচ্ছে, চলুক তাহলে।