একটি মিথ-থা প্রেমের গল্প ।।
নাঃ, আর পারা যাচ্ছে না। সেই সাড়ে ছটায় অফিস থেকে ফিরেছে উমা। তারপর রান্না শেষ হতে আটটা। দুজনের কাজ, কতটুকু আর! কিন্তু অনিমেষের ফিরতে প্রতিদিন অন্ততঃ এগারটা। তাও বুঝত যদি অফিসে কাটায় সময়টা। ফিরবে তো সেই আকণ্ঠ গিলে। ছেলেকে হোস্টেলে পাঠিয়ে দেবার পর আর একা একা সময় কাটে না। অথচ ব্যাপারটা লজ্জার, সবাইকে বলাও তো যায় না! উমা কি ভেবে শেষে শ্যামাকেই ফোন করল। কিছুটা তো সময় কাটুক।
শ্যামা উমার পিঠোপিঠি ছোট বোন। সত্যিই সে শ্যামাঙ্গী, উমার ঠিক উলটো। অথচ ওদের এরকম কোনও জ্বালা নেই। ও আর বর দীপ্তেন্দু দুজনেই একই স্কুলে পড়ায়, একমাত্র মেয়েকেও ভর্তি করেছে সেখানে। খুব উচ্চাশা না থাকলেও নির্ঝঞ্ঝাট পরিবার। শ্যামা একটু অবাকই হল, দিদি এসময় ফোন করায়। 'হ্যাঁ, ভাল আছি, তোরা? জামাইবাবু কোথায়? সে কি, এখনও ফেরেনি! আচ্ছা?...
নাঃ, আর পারা যাচ্ছে না। সেই সাড়ে ছটায় অফিস থেকে ফিরেছে উমা। তারপর রান্না শেষ হতে আটটা। দুজনের কাজ, কতটুকু আর! কিন্তু অনিমেষের ফিরতে প্রতিদিন অন্ততঃ এগারটা। তাও বুঝত যদি অফিসে কাটায় সময়টা। ফিরবে তো সেই আকণ্ঠ গিলে। ছেলেকে হোস্টেলে পাঠিয়ে দেবার পর আর একা একা সময় কাটে না। অথচ ব্যাপারটা লজ্জার, সবাইকে বলাও তো যায় না! উমা কি ভেবে শেষে শ্যামাকেই ফোন করল। কিছুটা তো সময় কাটুক।
শ্যামা উমার পিঠোপিঠি ছোট বোন। সত্যিই সে শ্যামাঙ্গী, উমার ঠিক উলটো। অথচ ওদের এরকম কোনও জ্বালা নেই। ও আর বর দীপ্তেন্দু দুজনেই একই স্কুলে পড়ায়, একমাত্র মেয়েকেও ভর্তি করেছে সেখানে। খুব উচ্চাশা না থাকলেও নির্ঝঞ্ঝাট পরিবার। শ্যামা একটু অবাকই হল, দিদি এসময় ফোন করায়। 'হ্যাঁ, ভাল আছি, তোরা? জামাইবাবু কোথায়? সে কি, এখনও ফেরেনি! আচ্ছা?...
কথা চলল আধঘণ্টার মত। 'ঠিক আছে, জামাইবাবুকে একটা ফোন করছি। আর শোন, যা
বললাম, তেমনটি করবি, কেমন? দেখিস, সব ঠিক হয়ে যাবে।' শ্যামা ওদিক থেকে লাইন
কেটে দিল।
রাত দশটা নাগাদ অনিমেষ ঘরের বেল বাজাল। ভেতর থেকে শুনল উমার গলা, 'আসছি, এত দেরী করতে হয়, এদিকে অনিমেষের আসার সময় হয়ে গেল।' বলতে বলতে দরজা খুলল উমা। 'ওমা, তুমি!' যেন জোর করে খুশী হবার নাটক করল সে।
'কেন, তুমি কাকে ভেবেছিলে?' গলায় ঝাঁঝ নিয়ে বলে অনিমেষ।
'আমি! কাকে আবার? আমার আর কে আছে কোন চুলোয়? একটা বোন আছে, তারও তো সময় নেই, নিজের ফ্যামিলি নিয়েই ব্যস্ত!'
'কেন, শ্যামা নাকি কল করেছিল, তুমি ফোন তোলনি!'
'কি জানি, আমি তো শুনিনি, হয়ত বাথরুমে ছিলাম।'
আর কথা না বাড়িয়ে চেঞ্জ করতে গেল অনিমেষ। পরদিন থেকে জানিনা কেন ঠিক সাতটার মধ্যে ঘর ফিরতে লাগল অনিমেষ।
উমাও হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। কাল অফিস থেকে আসার পথে একটা কাজ করতে হবে। এক বোতল ভাল স্কচ আনতে হবে, ব্যাপারটা মহিলাদের পক্ষে শোভন না হলেও। ও হ্যাঁ, আর একটা ফোন, শ্যামাকে, থ্যাঙ্কস জানিয়ে।
কুয়েত, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৪।
রাত দশটা নাগাদ অনিমেষ ঘরের বেল বাজাল। ভেতর থেকে শুনল উমার গলা, 'আসছি, এত দেরী করতে হয়, এদিকে অনিমেষের আসার সময় হয়ে গেল।' বলতে বলতে দরজা খুলল উমা। 'ওমা, তুমি!' যেন জোর করে খুশী হবার নাটক করল সে।
'কেন, তুমি কাকে ভেবেছিলে?' গলায় ঝাঁঝ নিয়ে বলে অনিমেষ।
'আমি! কাকে আবার? আমার আর কে আছে কোন চুলোয়? একটা বোন আছে, তারও তো সময় নেই, নিজের ফ্যামিলি নিয়েই ব্যস্ত!'
'কেন, শ্যামা নাকি কল করেছিল, তুমি ফোন তোলনি!'
'কি জানি, আমি তো শুনিনি, হয়ত বাথরুমে ছিলাম।'
আর কথা না বাড়িয়ে চেঞ্জ করতে গেল অনিমেষ। পরদিন থেকে জানিনা কেন ঠিক সাতটার মধ্যে ঘর ফিরতে লাগল অনিমেষ।
উমাও হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। কাল অফিস থেকে আসার পথে একটা কাজ করতে হবে। এক বোতল ভাল স্কচ আনতে হবে, ব্যাপারটা মহিলাদের পক্ষে শোভন না হলেও। ও হ্যাঁ, আর একটা ফোন, শ্যামাকে, থ্যাঙ্কস জানিয়ে।
কুয়েত, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৪।
No comments:
Post a Comment