"তত্বকথা"
ধূমপান।।
ধূমপান ছেড়েছি অনেকদিন হল। তাই সেসব সম্বন্ধে লেখবার অধিকার আমার কিছুটা জন্মেছে বললেই চলে। ধূমপান যে করে সে যদি নাও বা মরে, আশেপাশের লোকজনদের বিরক্ত করে বৈকি। জানিনা তার সুফল আছে কিনা, তবে রবি ঠাকুরের 'ক্যামেলিয়া' কবিতার নায়ক একটা সুযোগ অবশ্যই পেয়েছিল, নায়িকা কমলাকে ইমপ্রেস করার। খুব আদর্শ পরিবেশ, তবু সে পারেনি- দরকার হয় কবিতাটা পড়ে দেখুন।
এই প্রসঙ্গে একটা গল্প মনে পড়ল। কলকাতার একটি মিনি বাসের মধ্যে বসা এক ভদ্র-সভ্য যুবক লক্ষ্য করলেন যে সামনের সীটে বসে একজন সিগারেট খাচ্ছে। না, তিনি আপত্তি করলেন না, বরং তাই দেখে (ভুক্তভোগীমাত্রেই জানেন, ধূমপানের ইচ্ছে নামক রোগটা কতটা সংক্রামক) তাঁরও 'সিগারেট' পেল। আগেই বলেছি, তিনি ভদ্রলোক, তাই কন্ডাক্টারকে ডেকে সবিনয়ে জিগ্যেস করলেন- 'দাদা একটা সিগারেট খেতে পারি?'
'না', কন্ডাক্টারের কড়া উত্তর, 'দেখছেন না, NO SMOKING লেখা আছে বড় বড় করে বাসের গায়ে?' 'তাহলে ওই সামনের ভদ্রলোক খাচ্ছেন কি করে?' যুবকের প্রশ্ন।
'তিনি কি আমাকে জিগ্যেস করেছেন?!'
ধূমপানের অনুমতির ব্যাপারে আরেকটা বাজে গল্প আছে। তবে এটাও পুরনো। গুরুকুলের প্রার্থনাসভায় এক শিষ্যের খুব 'ধূমপান' পায়। সে একদিন সাহস করে বলেই ফেলল- 'গুরুদেব, আমি কি প্রার্থনা করতে করতে ধূমপান করতে পারি?' গুরু খেপে গিয়ে এক ধমক দিলেন।
পরের দিন শিষ্যটি লক্ষ্য করল আরেকটি শিষ্য সেখানে মনের আনন্দে হুঁকো টেনে যাচ্ছে, অথচ গুরুদেব কিছু বলছেন না। প্রার্থনাশেষে প্রথম শিষ্যটি ধরেছে দ্বিতীয়টিকে- 'ভাই আমাকে ত গুরু ধমকে দিলেন। তা তুই কিভাবে অনুমতি আদায় করলি শুনি।'
'আমি ত তোর মত বোকা নই', দ্বিতীয়জন বলে, আমি জিগ্যেস করেছিলাম, 'গুরুদেব, আমি কি ধূমপান করতে করতে প্রার্থনা করতে পারি? তাই শুনে গুরুদেব খুশি হয়ে বললেন, বৎস, তোমার মত ধার্মিক দেখা যায় না, তুমি ধূমপান করতে করতেও প্রার্থনা করতে চাও? এমন শিষ্য পাওয়াও ভাগ্যের ব্যাপার! স্বচ্ছন্দে করতে পার।'
এবার একটি ছেলে ভুলোনো ধাঁধাঁ। সব জিনিষ ত টানলে বাড়ে। তা কি এমন আছে, যা টানলে কমে?
এর উত্তরটাও কি বলে দিতে হবে!
ধূমপান।।
ধূমপান ছেড়েছি অনেকদিন হল। তাই সেসব সম্বন্ধে লেখবার অধিকার আমার কিছুটা জন্মেছে বললেই চলে। ধূমপান যে করে সে যদি নাও বা মরে, আশেপাশের লোকজনদের বিরক্ত করে বৈকি। জানিনা তার সুফল আছে কিনা, তবে রবি ঠাকুরের 'ক্যামেলিয়া' কবিতার নায়ক একটা সুযোগ অবশ্যই পেয়েছিল, নায়িকা কমলাকে ইমপ্রেস করার। খুব আদর্শ পরিবেশ, তবু সে পারেনি- দরকার হয় কবিতাটা পড়ে দেখুন।
এই প্রসঙ্গে একটা গল্প মনে পড়ল। কলকাতার একটি মিনি বাসের মধ্যে বসা এক ভদ্র-সভ্য যুবক লক্ষ্য করলেন যে সামনের সীটে বসে একজন সিগারেট খাচ্ছে। না, তিনি আপত্তি করলেন না, বরং তাই দেখে (ভুক্তভোগীমাত্রেই জানেন, ধূমপানের ইচ্ছে নামক রোগটা কতটা সংক্রামক) তাঁরও 'সিগারেট' পেল। আগেই বলেছি, তিনি ভদ্রলোক, তাই কন্ডাক্টারকে ডেকে সবিনয়ে জিগ্যেস করলেন- 'দাদা একটা সিগারেট খেতে পারি?'
'না', কন্ডাক্টারের কড়া উত্তর, 'দেখছেন না, NO SMOKING লেখা আছে বড় বড় করে বাসের গায়ে?' 'তাহলে ওই সামনের ভদ্রলোক খাচ্ছেন কি করে?' যুবকের প্রশ্ন।
'তিনি কি আমাকে জিগ্যেস করেছেন?!'
ধূমপানের অনুমতির ব্যাপারে আরেকটা বাজে গল্প আছে। তবে এটাও পুরনো। গুরুকুলের প্রার্থনাসভায় এক শিষ্যের খুব 'ধূমপান' পায়। সে একদিন সাহস করে বলেই ফেলল- 'গুরুদেব, আমি কি প্রার্থনা করতে করতে ধূমপান করতে পারি?' গুরু খেপে গিয়ে এক ধমক দিলেন।
পরের দিন শিষ্যটি লক্ষ্য করল আরেকটি শিষ্য সেখানে মনের আনন্দে হুঁকো টেনে যাচ্ছে, অথচ গুরুদেব কিছু বলছেন না। প্রার্থনাশেষে প্রথম শিষ্যটি ধরেছে দ্বিতীয়টিকে- 'ভাই আমাকে ত গুরু ধমকে দিলেন। তা তুই কিভাবে অনুমতি আদায় করলি শুনি।'
'আমি ত তোর মত বোকা নই', দ্বিতীয়জন বলে, আমি জিগ্যেস করেছিলাম, 'গুরুদেব, আমি কি ধূমপান করতে করতে প্রার্থনা করতে পারি? তাই শুনে গুরুদেব খুশি হয়ে বললেন, বৎস, তোমার মত ধার্মিক দেখা যায় না, তুমি ধূমপান করতে করতেও প্রার্থনা করতে চাও? এমন শিষ্য পাওয়াও ভাগ্যের ব্যাপার! স্বচ্ছন্দে করতে পার।'
এবার একটি ছেলে ভুলোনো ধাঁধাঁ। সব জিনিষ ত টানলে বাড়ে। তা কি এমন আছে, যা টানলে কমে?
এর উত্তরটাও কি বলে দিতে হবে!
No comments:
Post a Comment