Friday, October 18, 2013

Bengali Poem- Peynaji Sonnet

পেঁয়াজি-সনেট

বড়ই নির্মম তারে ভাবি আমি মনে
রে পলাণ্ডু । লুকায়ে যে অতি সযতনে-
রাখি তোরে অন্ধকার গুদামের মাঝে
বসি রহে সচেতন দুরাশার সাঁঝে
মূল্যবৃদ্ধি তরে । বাড়ি ওঠে ক্রমাগত,
মূল্য হায়, গগনের উচ্চতার মত -
ছুঁইল সে শতমুদ্রা । রে পেঁয়াজ তোরে
কাটিতে ঝরিত অশ্রু । এখন তা ঝরে...
পকেট হইতে যবে বাহিরায় টাকা
এক কিলো পেঁয়াজ কিনিতে হয় ফাঁকা
মানিব্যাগ । ভাবি আহা জৈন-সম্প্রদায়
কত সুখী, তাহারা পেঁয়াজ নাহি খায় ।

হে বিধাতা, বাস তব হউক নাশিক-
পলান্ডু-খচিত যেন হেরি দশদিক্‌ ।

২১শে আগস্ট, ২০১৩



শুধু পেঁয়াজের জন্যে ।।




পেঁয়াজ-কলি আমি তারেই বলি,
ফুল যে তারে বলে গাঁয়ের লোক,
ফুটলে তাহা, জানি মাটির নীচে...
ফলছে টাকা থোকের পরে থোক।
গাঁয়ের বধূ বেচতে যখন আসে
দশ বা বিশের পরোয়া থোড়াই করি,
ফেরে সে যবে গাঁয়ের পথ ধরে
আনমনেতে তাহার পিছু ধরি।

সুদূর! তা সে যতই দূরে হোক,
ঘরেতে তার পেঁয়াজ ফলে থোক।।
ঘন মেঘে আঁধার হলে পরে
বোঝাই তারে, ওগো গ্রামের বধূ,
এই সময়ে বৃষ্টি হলে পরে
পেঁয়াজ তোমার পচবে শুধু শুধু।
তার চে বরং এই টাকাটা ধর,
গোটা দুয়েক বস্তা বাহির কর,
সারা পেঁয়াজ দাও আমারে বেচে,
মিথ্যে কেন বাজার ঘুরে মর?
দামি! সে যে যতই দামি হোক,
পেঁয়াজ পেয়ে ভুলেছি সব শোক।।


"এমনটা কি হয়?"


যদি এমন হয়!
পথের ধারে গাছের পরে থরে থরে পেঁয়াজ ঝুলে রয়,
এমন যদি হয়?
...
পথের শ্রমে শ্রান্ত হয়ে পান্থ যখন বসছে এসে গাছের ছায়ে
পাড়ছে তারা আঁকশি দিয়ে একটি দুটি ঝুলছে যারা গাছের গায়ে,
কিম্বা উঁচু ডালের পরে রয়েছে ধরে টুপুর-টুপ পড়ছে খসে
যখন হাওয়া বয়,
যদি এমন হয়!
মন্ত্রী হয়ে সংসদেতে যাচ্ছে যারা জানেকি তারা পেঁয়াজ কোথা ফলে?
গাছের ডালে ঝোলে নাকি মাটির নীচে রসাতলে গজায় দলে দলে।
কোটির কমে ধন না মানে, তারা কি জানে আশি টাকায় ক'টা মানুষ খায়,
সারাটা দিন ক্লান্ত হয়ে অর্ধ-পেটে দু-বেলা খেটে মজুরি কত পায়?
চারটি রুটি, দিন ফুরিয়ে খায় চিবিয়ে পেঁয়াজ দিয়ে এই চাইতেও ভয়,
পেঁয়াজ কিলো একশ হল হয়ত কিছু গরীব ম'ল,
এই দেশেতে আজব কিছু নয়,
এমন যদি হয়!!



টম্যাটো -অসম্ভব কাব্য।।


পরশু রাতে পান্তাভাতে সাবড়ে শুয়ে বিছনাতে,
ভোরবেলাতে আবছায়াতে স্বপ্ন দেখে মন মাতে।
কি বলব ভাই, যা ইচ্ছে তাই কাণ্ড দেখে মাথায় বাজ...

টম্যাটো আর পেঁয়াজ ভায়ার ঝগড়া তুমুল ঝুড়ির মাঝ।
টম্যাটো কয় পেঁয়াজ নাহয় করল প্রথম সেঞ্চুরী,
শরদ পওয়ার তুঙ্গে সওয়ার পালায় কোথায় ইয়েচুরী!
তাইতো পেঁয়াজ বরঞ্চ আজ নাসিক গিয়ে থাক বসে,
এবার আমি মারব শতক গিটকিরিতে তান কষে।
টুকটুকে লাল খুকী তোর গাল তাও কি ছোঁয়া যায় তোকে!
আলিমুদ্দিন দেখছে সুদিন নীল-সবুজ মরে শোকে।


একটি প্রেমের কবিতা !

তার হাতে ছিল একটি টিনের ক্যান পেট্রোল তেলে ভরা
পেট্রোলের তেলে ভরা ।
মোর সাথে ছিল পেঁয়াজ ভরা থলে...
নাসিক থেকে বাজার করা ।।

সহসা আসিয়া কহিল সে সুন্দরী, এসো না বদল করি ।
রাঁধছি চিকেন বাড়িতে, তেল ভরে নাও গাড়িতে- নাও ত্বরা ।।
তুমি যদি ওল, আমিও তেঁতুল- বললাম, তবে এসো
লিফট দি-নাহয়, আমার পাশেই বসো ।
দুজনেই মোরা হলাম যে জয়ী একে অপরকে পেয়ে
কিছুই হলনা গো হাতছাড়া !!



অণুগল্প ।।

-- বলো কি! ছেলে পেঁয়াজ খায়? জেনেশুনে এমন জামাই করলে নন্দলাল!
- আহা সে কি রোজ রোজ খায়, দেবদুলাল? হাজার হোক ওরা নিতান্তই মধ্যবিত্ত ঘরের লোক।
- তবে?...
- ইলেকশানের আগে ক'দিনের জন্যে দাম কমে, তখনই খায়!

No comments:

Post a Comment