মানভুম পুরুলিয়া অঞ্চলের বৈবাহিক প্রথাগুলির একটি হল 'বিটি বিকা' বা কনে বিক্রি । এটা মুলতঃ নিম্নবর্ণের মধ্যে দেখা যায় । এর বিপরীত হল 'কুল করা' অর্থাৎ উচ্চশ্রেণীয় লেন-দেন রহিত পদ্ধতি । এ-নিয়ে একটি মজার ছড়া ছিল আমার ঠাকুরমার সংগ্রহে, মানভুমের লোক ভাষায় রচিত ।
'বিটি- বিকা'
নিধিরাম মাহাশয় শন কাটছেন বস্যে...
খেলারাম ভসচাজ্জি উত্তরিলেন এস্যে ।
নিধিরাম খেলারামকে করছ্যেন জিগ্যাসা-
মাহাশয়ের নিবাস কোথা ?
নীল-বসন, নীলোদড়ি ।
যদি বা এস্যেছি কিছু নিবেদন করি ।
অবিবাহিতা কইন্যা আছে মাহাশয়ের ঘরে
সম্বন্ধ কইরবার লাগি আইচি তাহার তরে ।
শুন মাহাশয়, মনের কথা কই,
কোন পুরুষের বিটি-বিকা লই ।
পাঁঠী বিকে কোন পুরুষে খাইনাইখ কড়ি
খরচান্ত লিব টাকা সাড়ে দশ কুড়ি ।
যেইমাত্র নিধিরাম 'কুল' কইরব বলে,
উল্কাপাতের পারা তাকে মাগী উইঠছে জল্যে ।
কি বললি পোড়াকপাল্যা, কি বইলতে লাগ্যেছিস?
এই বল্যে নিধিরামকে দাবড়ে দিয়ে কষে,
গালভরা পান-দোক্তা চিভাত্যে চিভাত্যে
নিধিরামের সম্মুখেতে বৈসল পিঁড়া পাত্যে ।
দুই-চাইর কথা কয় দিয়ে নথ নাড়া
খামচি-খামচির পারা মগজ করে ট্যাঁরা-
বট-ঠাকুরকে বল্যে দিব, খাঁয়ে যাক তাপ
সব্বকাল পুড়াই খাল্যেক এই মিন্স্যা বাপ ।
অলংকারের কথা বলি, শুন মন দিয়ে,
এমনি করে বরের মা-কে বইলতে চাওগা গিয়ে-
দু-ললিতে ললি দিবে, তে-ললিতে পলি,
ছাড়-কঙ্কন, বাজু-বন্ধন, সোনায় বাঁধা চুড়ি ।
ডান নাকে বেসর দিবে, বাঁ নাকে নথ দিবে,
সোনায় বাঁধা নথ দিবে তায় ঘুঙুর যেমন থাকে ।
অল্পবয়সি বরটি হবেক, দেইখতে ফিটিংটিঙ্গা
রং-বিনোদ্যা ফরক-চান্দা, তোফা রং-চঙ্গা ।
সখি-সংবাদ গাইতে পারবে, মুখে মধুর হাসি,
ঠ্যাঙ্গা-ল্যাজা কাপড় পইরব্যে, দাঁতে মাজা মিশি ।
গাছের পাড়ি, তলের কুড়াই, কাদা উড়াই ফুঁকে
কার সাধ্যি গণ্ডগোলে টিকে আমার মুখে ।
কি বইলব ঘটক্ ঠাকুর, তেল নাইখ ভাঁড়ে,
ছেল্যা-পুলার ঘর আমার, বাসি নাইখ পড়ে ।
গুড়ের মিষ্টান্ন থাকত যদি, দিথম তুমার হাতে
চান-আনহিক করে তুমি পথে জল খাত্যে ।
এই শুনে উচ্ছইন্ন্যারা করে আনাগোনা,
আইসব বল্যে যায়, আর ফিরে আসে না
'বিটি- বিকা'
নিধিরাম মাহাশয় শন কাটছেন বস্যে...
খেলারাম ভসচাজ্জি উত্তরিলেন এস্যে ।
নিধিরাম খেলারামকে করছ্যেন জিগ্যাসা-
মাহাশয়ের নিবাস কোথা ?
নীল-বসন, নীলোদড়ি ।
যদি বা এস্যেছি কিছু নিবেদন করি ।
অবিবাহিতা কইন্যা আছে মাহাশয়ের ঘরে
সম্বন্ধ কইরবার লাগি আইচি তাহার তরে ।
শুন মাহাশয়, মনের কথা কই,
কোন পুরুষের বিটি-বিকা লই ।
পাঁঠী বিকে কোন পুরুষে খাইনাইখ কড়ি
খরচান্ত লিব টাকা সাড়ে দশ কুড়ি ।
যেইমাত্র নিধিরাম 'কুল' কইরব বলে,
উল্কাপাতের পারা তাকে মাগী উইঠছে জল্যে ।
কি বললি পোড়াকপাল্যা, কি বইলতে লাগ্যেছিস?
এই বল্যে নিধিরামকে দাবড়ে দিয়ে কষে,
গালভরা পান-দোক্তা চিভাত্যে চিভাত্যে
নিধিরামের সম্মুখেতে বৈসল পিঁড়া পাত্যে ।
দুই-চাইর কথা কয় দিয়ে নথ নাড়া
খামচি-খামচির পারা মগজ করে ট্যাঁরা-
বট-ঠাকুরকে বল্যে দিব, খাঁয়ে যাক তাপ
সব্বকাল পুড়াই খাল্যেক এই মিন্স্যা বাপ ।
অলংকারের কথা বলি, শুন মন দিয়ে,
এমনি করে বরের মা-কে বইলতে চাওগা গিয়ে-
দু-ললিতে ললি দিবে, তে-ললিতে পলি,
ছাড়-কঙ্কন, বাজু-বন্ধন, সোনায় বাঁধা চুড়ি ।
ডান নাকে বেসর দিবে, বাঁ নাকে নথ দিবে,
সোনায় বাঁধা নথ দিবে তায় ঘুঙুর যেমন থাকে ।
অল্পবয়সি বরটি হবেক, দেইখতে ফিটিংটিঙ্গা
রং-বিনোদ্যা ফরক-চান্দা, তোফা রং-চঙ্গা ।
সখি-সংবাদ গাইতে পারবে, মুখে মধুর হাসি,
ঠ্যাঙ্গা-ল্যাজা কাপড় পইরব্যে, দাঁতে মাজা মিশি ।
গাছের পাড়ি, তলের কুড়াই, কাদা উড়াই ফুঁকে
কার সাধ্যি গণ্ডগোলে টিকে আমার মুখে ।
কি বইলব ঘটক্ ঠাকুর, তেল নাইখ ভাঁড়ে,
ছেল্যা-পুলার ঘর আমার, বাসি নাইখ পড়ে ।
গুড়ের মিষ্টান্ন থাকত যদি, দিথম তুমার হাতে
চান-আনহিক করে তুমি পথে জল খাত্যে ।
এই শুনে উচ্ছইন্ন্যারা করে আনাগোনা,
আইসব বল্যে যায়, আর ফিরে আসে না
No comments:
Post a Comment