'ঠিকানা'
-শীগগির পা চালিয়ে চল, যে কোনও মুহূর্তে বৃষ্টি নামতে পারে, দাদু বললেন ।
-দাদু, এই গলিটাই তো, তবে বাড়ীটা চেনা যায় কিভাবে? বৃষ্টি শুরু হয়েছে, রাস্তায় লোকজন নেই , আমি মন্তব্য করলাম ।
ঘটনাটা আমার ছোটবেলার, এক আত্মীয়ের শ্রাদ্ধোপলক্ষ্যে গেছিলাম পুরুলিয়ার মানবাজারে গ্রামসম্পর্কের এক দাদুর সাথে । সেখানেই আলাপ মানিকদার সাথে। শিক্ষিত বেকার যুবক, কট্টর বামপন্থায় দীক্ষিত। দাদুটি আবার পাকা কংগ্রেসি! ফলে তর্ক জমতে দেরি হল না। ইতিমধ্যে আমরা রাজবাড়ি, থানা, মহকুমা অফিস ঘুরে দেখে নিয়েছি। বেলা হচ্ছিল, 'তর্কটা ঠিক জমল না, বুঝলেন দাদু', মানিকদা বললেন। 'বিকেলে আসুন না আমাদের বাসায়, চা খেতে খেতে আড্ডা দেওয়া যাবে। পঞ্চানন ব্যানার্জির গলি, কাউকে জিগ্যেস করলেই বাড়ী দেখিয়ে দেবে।'
বলা বাহুল্য, আমাদেরও সময় কাটছিল না, ফলে বিকেল হওয়ার আগেই আমরা হাঁটা দিলাম পঞ্চানন ব্যানার্জির গলির উদ্দেশে। তারপর কি হল তা আগেই জানিয়েছি।
কি করা যায়, ভাবছি, এমন সময় দাদুর চোখ পড়ল একটি বাড়ির ছাদে। 'দ্যাখ, মনে হচ্ছে ঐ বাড়ীটা, ছাতে কম্যুনিস্টের লাল ঝাণ্ডা টাঙ্গানো।' আমরা বিনা বাক্যব্যয়ে দরজার কড়া নাড়লাম। আমাদের অনুমান সঠিক, মানিকদা এসে দরজা খুললেন।
চায়ের কাপে চুমুক দিয়েছি, এমন সময় মানিকদা আমায় শুধোলেন, 'ভাই তোমাদের বাসা চিনতে অসুবিধে হয় নি তো?'
'তাই কি হয়', দাদু জানালেন, 'যা একটা লালঝাণ্ডা টাঙ্গিয়ে রেখেছ ছাতে।'
'লালঝাণ্ডা, সে কি' বলেই হঠাৎ দৌড়। দু'মিনিট পরে মানিকদার ছাত থেকে অবতরণ, হাতে একটি ভিজে লাল ডোরাকাটা লুঙ্গি । 'ভাগ্যিস মনে করিয়ে দিলেন, ঝড়ে উড়ে অ্যান্টেনায় আটকে ছিল, তবে ভিজে গেছে একেবারে।'
বিধাতাপুরুষ রঙ্গপ্রিয় বলেই বোধহয় 'কাকতালীয়' কথাটার সৃষ্টি হয়েছিল ।
-শীগগির পা চালিয়ে চল, যে কোনও মুহূর্তে বৃষ্টি নামতে পারে, দাদু বললেন ।
-দাদু, এই গলিটাই তো, তবে বাড়ীটা চেনা যায় কিভাবে? বৃষ্টি শুরু হয়েছে, রাস্তায় লোকজন নেই , আমি মন্তব্য করলাম ।
ঘটনাটা আমার ছোটবেলার, এক আত্মীয়ের শ্রাদ্ধোপলক্ষ্যে গেছিলাম পুরুলিয়ার মানবাজারে গ্রামসম্পর্কের এক দাদুর সাথে । সেখানেই আলাপ মানিকদার সাথে। শিক্ষিত বেকার যুবক, কট্টর বামপন্থায় দীক্ষিত। দাদুটি আবার পাকা কংগ্রেসি! ফলে তর্ক জমতে দেরি হল না। ইতিমধ্যে আমরা রাজবাড়ি, থানা, মহকুমা অফিস ঘুরে দেখে নিয়েছি। বেলা হচ্ছিল, 'তর্কটা ঠিক জমল না, বুঝলেন দাদু', মানিকদা বললেন। 'বিকেলে আসুন না আমাদের বাসায়, চা খেতে খেতে আড্ডা দেওয়া যাবে। পঞ্চানন ব্যানার্জির গলি, কাউকে জিগ্যেস করলেই বাড়ী দেখিয়ে দেবে।'
বলা বাহুল্য, আমাদেরও সময় কাটছিল না, ফলে বিকেল হওয়ার আগেই আমরা হাঁটা দিলাম পঞ্চানন ব্যানার্জির গলির উদ্দেশে। তারপর কি হল তা আগেই জানিয়েছি।
কি করা যায়, ভাবছি, এমন সময় দাদুর চোখ পড়ল একটি বাড়ির ছাদে। 'দ্যাখ, মনে হচ্ছে ঐ বাড়ীটা, ছাতে কম্যুনিস্টের লাল ঝাণ্ডা টাঙ্গানো।' আমরা বিনা বাক্যব্যয়ে দরজার কড়া নাড়লাম। আমাদের অনুমান সঠিক, মানিকদা এসে দরজা খুললেন।
চায়ের কাপে চুমুক দিয়েছি, এমন সময় মানিকদা আমায় শুধোলেন, 'ভাই তোমাদের বাসা চিনতে অসুবিধে হয় নি তো?'
'তাই কি হয়', দাদু জানালেন, 'যা একটা লালঝাণ্ডা টাঙ্গিয়ে রেখেছ ছাতে।'
'লালঝাণ্ডা, সে কি' বলেই হঠাৎ দৌড়। দু'মিনিট পরে মানিকদার ছাত থেকে অবতরণ, হাতে একটি ভিজে লাল ডোরাকাটা লুঙ্গি । 'ভাগ্যিস মনে করিয়ে দিলেন, ঝড়ে উড়ে অ্যান্টেনায় আটকে ছিল, তবে ভিজে গেছে একেবারে।'
বিধাতাপুরুষ রঙ্গপ্রিয় বলেই বোধহয় 'কাকতালীয়' কথাটার সৃষ্টি হয়েছিল ।
short but deep feeling of non-conventional in nature.
ReplyDelete