Tuesday, August 20, 2019

বিশেষ ফিচার- সেকালের জিঙ্গল।

  সেকালের বিজ্ঞাপনে জিঙ্গল।

(১)

জিঙ্গল বা ছড়া চিরকালই বিজ্ঞাপনের একটা খুব উপযোগী সাধন। সুন্দর ছন্দ আর ক্যাচ-লাইনের দৌলতে একেকটা জিঙ্গল মানুষের মনে গেঁথে যায়, পরে কখনও পণ্যটি কিনতে গেলে ছড়াটা মনের কোনে কোনে নাচানাচি করতে থাকে, ওই জিনিষটির দিকে মন স্বাভাবিকভাবেই আকর্ষিত হয়। শুরু করি একটা বহু পুরনো জিঙ্গল সুলেখা কালি দিয়ে।
"হাতের লেখা করবে ভাল-
খোকন করে পণ,
দিনরাত তাই ভাবছে বসে
মন উচাটন।

কলমটা তো ভালই আছে, 

কালিও আছে কত,
তবু কেন হয়না লেখা
কবি দাদুর মত?
সুলেখা কালি, সুলেখা কালি
মনের কথা তোমায় বলি;
তোমার লেখা বড়ই মধুর
লেখা যেন কবি দাদুর!"
 ছড়াটা বহু কষ্টে স্মৃতি থেকে উদ্ধার করলাম, সাহায্য পেলাম আমার ছোট বোন কাবেরীর। আজ সুলেখা কালি হারিয়ে গেছে, যদিও যাদবপুরের সুলেখা স্টপেজ এখনও আছে। তবু মনে আশা, এই মিষ্টি জিঙ্গলগুলো যেন না হারায়। এমনি কিছু হারিয়ে যাওয়া বিজ্ঞাপনের ছড়া নিয়ে আসি একে একে, অপেক্ষা করুন।
বন্ধু ডাঃ সিদ্ধার্থ মুখার্জি পুরনো দিনের একজন বিশেষজ্ঞ বলা যায়, তাঁর দৌলতে সেকালের কলকাতা, বাংলা ও বাঙ্গালিদের সম্বন্ধে অনেক কিছু জেনেছি। তিনি একটা ছোট অথচ বিখ্যাত জিঙ্গল মনে করিয়ে দিলেন, এইচ-এম-ভির
"সুখী গৃহকোণ
শোভে গ্রামোফোন।"
সত্তরের দশকে লিপটন কোম্পানী শ্রীলঙ্কার লাওজী চা কোম্পানীর সাথে কোলাবরেশন করে, পরে লাওজী লিভারের (এখন ইউনিলিভার) সাথে মার্কেটিং-এর গাঁটছড়া বাঁধে। সেসময় লাওজী লিপটন চায়ের একটা জিঙ্গল খুব জনপ্রিয় হয়েছিল পত্রপত্রিকায়। সেটা ছিল এরকম-
"লাট্টুবাবু পেলেন কাজ
ওলন্দাজের গোলন্দাজ,
জীপে ঘোরেন বন্‌বন্‌
লিসবন থেকে লন্ডন।
পনের দিন ঘুরে
টনক গেল নড়ে,
নকল পায়ে ধরল বাত-
চা না পেয়ে লাট্টু কাত!"
ছড়াটার একটা অন্য বিশেষত্ব ছিল। সেটা বোঝা যাবে প্রতিটা পঙক্তির আদ্যক্ষরগুলোকে মেলালে।

দিল্লি থেকে বাঁশিদা মনে করিয়ে দিচ্ছেন আরেকটি ভুলে যাওয়া জিঙ্গল- "ঘৃত দুই প্রকার- শ্রী ও বিশ্রী", হাসির রাজা শিব্রাম চকরবরতি একসময় শ্রী ঘিয়ের বিজ্ঞাপণের জন্যে লিখেছিলেন লাইনটি।
সত্যজিৎ রায় বাটার জন্যে লিখেছিলেন- "হাঁটা মানেই বাটা"।



(২)


'নবাব কিনলে আরাম ফ্রী,
শুনছি বলছে, দিচ্ছে কি?
এবার আরাম পাব ফ্রী,
আমিও ফ্রী...
তুমিও ফ্রী'
(নবাবের গেঞ্জি ও জাঙ্গিয়া)
তখন বোধহয় টিভি চলে এসেছে, কারণ এই ভার্সানটা যদ্দুর মনে পড়ে ভিস্যুয়াল ছিল।
একেজি - অশোক কুমার ঘোষের সংক্ষিপ্ত নাম, সেসময় যাদের জ্যাম-জেলি-আচারের নাম ছড়িয়ে পড়েছিল, ঘরে ঘরে নতুন কেনা টেলিভিশনের দৌলতে।
'একেজির তৈরি চাটনি আর আচার
একেজির জ্যাম জেলি তার জুড়ি মেলা ভার,
রান্নাটা জমে যায় সাথে দিলে ভিনিগার।
একেজির স্কোয়াশের স্বাদটা জবর
সিরাপ বা সসটা তো আছে দিনভর
স্বাস্থ্য শক্তি একেজির গুণ
স্বাদের জগতে রাজা একেজি কিনুন।'
স্পোর্টস্‌ আর শারীরচর্চার যন্ত্রপাতির জগতে কসকো একটা পরিচিত নাম। 
নানা খেলার বল এবং সাজ সরঞ্জাম প্রস্তুত করে আসছে বহু বছর যাবত। মুনমুন সেন, কসকো নামের হাওয়াই (flipflop) আর হাল্কা Polyurethene চপ্পলের বিজ্ঞাপন করতেন। একটি আকাশী নীল চপ্পল আর তার পাশে পড়ে আছে দুটি ছোট্ট পালক। হাস্কি গলায় সেক্সি ভাব এনে যখন মুনমুন সেন এটা বলতেন অ্যাপীল দশগুণ বেড়ে যেতে বাধ্য-'কসকো কসকো কসকো- শরীরে যেন পালকের স্পর্শ।' কত টুকটাক বিজ্ঞাপনের কথা মনে পড়ে। তখন আমরা নিতান্তই ছোট, বিবিধভারতী সবে চালু হয়েছে, তার একটা - 
"হেজলীন স্নো মেখে রূপবতী দেখে,
আঃ কি সুন্দর, আঃ কি তাজা আমায় কে করেছে গো

হে-জ-লী- ন স্নো ওও।"


আরেকটা পুরনো

"ফ্রিজ, রেডিও, পাখা যদি চান
ট্রটকোতে আজই চলে যান
হাজরা পার্কের দক্ষিণে ট্রটকো
ট্রটকো যে করছে আহবান।"


(৩)

বন্ধু কেয়া মুখোপাধ্যায় 'ঠিক যেন ক্যালেইডোস্কোপ' নামে একটা বই লিখেছেন। এই বইয়ে একটি পরিচ্ছেদে রেডিও জিঙ্গল ও শ্রাবন্তী মজুমদার বিষয়ে তিনি বোরোলীনের জনপ্রিয় জিঙ্গলটি সম্বন্ধে মনে করান-
"শুষ্কতার, রুক্ষতার অবসান যদি চান,
বারোমাস সারা অঙ্গে মেখে নিন
সুরভিত অ্যান্টিসেপটিক ক্রীম বোরোলীন।
ত্বক যদি কেটে যায়, ফেটে যায়, খসখসে যদি হয়-
রোদ্দুরে ঝলসায়, সারা অঙ্গে মেখে নিন,
সুরভিত অ্যান্টিসেপটিক ক্রীম বোরোলীন।"
সত্তরের দশকে শ্রাবন্তী মজুমদার ছিলেন দারুন জনপ্রিয় গায়িকা। বহু 'পপ-হিট' গান গেয়েছেন। ওই সময় বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের জিঙ্গল তিনি করেছিলেন।
বোরোলীন তো ছিলই, আর ছিল P3 হোসিয়ারি র সেই রবিবারের দুপুর পৌনে দুটোয় আলীবাবা-মর্জিনার আসর: আরব্য রজনী । তার সিগনেচার জিঙ্গল ছিল " পি প্লাস পি প্লাস পি -- পি থ্রি ! " সঙ্গে থাকতেন কাজী সব্যসাচী - 'আলিবাবা '। শ্রাবন্তী আদুরে গলায় সুর ঢেলে ডাকতেন - " আ-লি-বা--বা "!
সে সময় কলকাতার মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলির Fest বা উৎসবে এই তিনটি জিঙ্গল না গাইলে, ওনার স্টেজ থেকে নামা বারণ ছিল। আর হ্যাঁ, মুনমুন সেন উপস্থিত থাকলে ... আমি কেন ( হরলিক্স)খাই? -দারুন লাগে! 
কেয়া মুখোপাধ্যায়ের সংগ্রহ থেকে আরো দুটি সেসময়ের বিখ্যাত বিজ্ঞাপনের ছড়া দিচ্ছি এখানে। 'ওয়েসিস' এর জিঙ্গলটা ছিল বেশ মনকাড়া, শ্রাবন্তীরই গাওয়া-
"মাথার ঘন চুল যখন
মরুভূমি হয়ে যায়-
ওয়েসিস নিয়ে আসে মরূদ্যান
মেঘের ছায়ায় ছায়ায়।"

"ইংলন্ডের অনতিদূরে আইল অফ মান-এ রেডিও থেকে স্বেচ্ছা-নির্বাসনে শ্রাবন্তী মজুমদার। আজও ত্বক রুক্ষ থাকে, শুষ্ক হয়, রোদ্দুরে ঝলসায়। আজও বঙ্গজীবনের অঙ্গ হয়ে আছে বোরোলীন। নেই বিবিধ ভারতীর সেই মন মাতানো জিঙ্গল- 'বারোমাস সারা অঙ্গে মেখে নিন......', লক্ষ লক্ষ শ্রোতা আজও আচ্ছন্ন হয়ে আছেন নষ্টালজিয়ায়।" (কেয়া মুখোপাধ্যায় -'ঠিক যেন ক্যালেইডোস্কোপ') 
এছাড়া ছিল টাকে চুল গজানোর 'অব্যর্থ' তেল জ্যাবর‍্যান্ডির মজার জিঙ্গল-
"রাবণরাজার টাক ছিল
পরচুলাতে ঢাকছিল,
জ্যাবর‍্যান্ডি মেখে মাথায়
চুল এলিয়ে হাসছিল।"
অভিষেক মুখার্জীকে আমি ঠিক চিনি না। কিন্তু বিজ্ঞাপনের জিঙ্গলের কথা মনে রাখতে তাঁর জুড়ি নেই। তাঁর ঝুলি থেকে একটা নমুনা দিচ্ছি-
"ঘুমোও আমার সোনা, আর কেঁদো না,
আর দুষ্টুমিও না।
দ্বিতীয় শিশুর কথা এখন থাক
কোহিনূরের উপর ভরসা রাখা যাক।"
বলা বাহুল্য, এ জিনিষের বিজ্ঞাপন এত নির্দোষ আর শোভন ভাষায় আজ আর লেখা হয় না ।

(৪)
সেকাল মানে, বেশ সেকাল -- ধরুন সত্তরের প্রথম দিকে বিবিধ ভারতী তে কিছু প্রায় ভুলে যাওয়া জিঙ্গল কিন্তু দারুন জনপ্রিয় ছিল। একটু বলি। 
কিছু Non -Prescription Medicine তখনই মাল্টি-লিঙ্গুয়াল জিঙ্গল চালু করে। বাংলায় করা হতো যেগুলি -- তাতে কিন্তু ভাষাটি ঠিক রাখা হতো। আজকালকার মতন ন্যক্কারজনক ('বেনারসি - ঢাকাই সিল্ক শাড়ি সুলভ' বা 'মাম্মা লো, পেয়েছে আমার হাল্কা খিদে') অনুবাদ বাংলায় গাওয়া বা বলা হতো না।

এই পর্যায়ে, পয়লা নম্বরে আসবে Glycodin Cough Syrup. তাদের শুরু বোধহয় আরও আগে। যতদূর মনে পড়ে - রেডিও বিজ্ঞাপন শুরু ও শেষ বোঝাতে যে দুটি করে মধুর পিয়ানোধ্বনি বাজানো হতো (এখনো হয়) সেটি শুরু করে এই গ্লাইকোডিন।
"কাশিতে কিসের ভয়টা,
খাও গ্লাইকোডিন টার্পবসাকা
গ্লাইকোডিনে পাবে আরাম

কাশিকে কর টা টা।
গ্লাইকোডিন গ্লাইকোডিন গ্লাইকোডিন।"
(মনে করিয়ে দেবার জন্যে কৃতজ্ঞতা- শর্মিলা রায়)
 ভারি সুরেলা কন্ঠে থাকতো -- " গ্লাইকোডিন টার্প বাসাকা " কথাটি। শিশির গায়েও লেখা থাকতো সেটি। পরে জেনেছি, বাসকপাতার নির্যাস থেকে তৈরি হতো সেই কাশিনাশিনী।

চুপিচুপি আর একটা কথা বলি, এই গ্লাইকোডিন-ই কিন্তু হিম্মত দেখিয়েছিল তিনটি অ‍্যাডফিল্ম করার। গোবিন্দ নিহালনি কৃত ছবি গুলি ছিল : লতা মঙ্গেশকার, বিসমিল্লা খাঁ আর ভীমসেন যোশি কে দিয়ে বলানো... গাওয়ানো... বাজানো.."ভাগ্যিস গ্লাইকোডিন ছিল " !
দেখাদেখি ভিকস (Vicks) ও জিঙ্গল করেছিল -- অবশ্যি অনেক পরে।
" ভিকসের গুলি নিন...খিঁচ খিঁচ দূর করুন।"
আর ছিল সারিডন (Saridon)!
" মাথা ব্যথার হয় অবসান / একটি, শুধু একটি সারিডন।"
নিরমা, লিরিলের তো সেদিনের 'বেওসা'। রাত সোয়া ন'টার সময় হতো "হাওয়া মহল" নামে হিন্দি কথকতা। তার ঠিক আগেই স্লট ছিল - ডোরা হোসিয়ারি প্রডাক্টসের। ভারি মজার।
বাবা অনেকদিন পরে বাড়ি ফিরেছে। স্ত্রী একটু দূরে...দুই ছেলে তাকে ঘিরে ধরেছে... হাত ধরে টানাটানি করছে আর বলছে : "বাবা, বাবা এসেছে! আমার জন্যে কি এনেছে?"
বাবাও গুছিয়ে বললেন : "তোমার জন্য ডোরা গেঞ্জি, ভাইয়ের জন্য ডোরা জাঙ্গিয়া, আর তোমাদের মায়ের জন্য..."
মা সলজ্জভাবে থামিয়ে দিয়ে বললেন :
" আগে বিশ্রাম করো তো! "
কি বুঝলেন ?
জিঙ্গল তো নয়, জলতরঙ্গ ছিল মশাই!


(৫)
আবার সাহায্য নিলাম কেয়া মুখোপাধ্যায় আর বেতার-টিভি ব্যক্তিত্ব সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের ঋতুপর্ণ সম্বন্ধে কিছু ব্লগের। বাঙালির মনকে বড় ভাল বুঝতেন ঋতুপর্ণ ঘোষ, তা সে সিনেমা পরিচালনাই হোক, বা জনপ্রিয় টিভি ধারাবাহিকের কাজ। পূর্বসূরী সত্যজিৎ রায়ের মতই তাঁরও বিজ্ঞাপনী জগতের ব্যাকগ্রাউন্ড। দুর্দান্ত কপিরাইটার ছিলেন ঋতুপর্ণ। তাঁর সংক্ষিপ্ত কিন্তু নজরকাড়া বিজ্ঞাপনী স্লোগানগুলো সবার প্রিয়। বোরোলীনের সেই ক্যাচলাইন- ‘জীবনের নানা ওঠা-পড়া যেন সহজে গায়ে না লাগে’ কি ‘বঙ্গ জীবনের অঙ্গ’ অথবা ব্রিটানিয়া বিস্কুটের ‘তোমার সকাল-আমার সকাল-সবার সকাল,’ কিংবা মার্গো সাবানের সেই অমোঘ সম্মোহন ‘দেখতে খারাপ, মাখতে ভাল’ আর অবশ্যই আনন্দবাজারের ‘পড়তে হয়, নইলে পিছিয়ে পড়তে হয়’- অনেক ভাবনা-চিন্তার ফসল, অথচ কি প্রাঞ্জল! আর সেইসঙ্গে কি অব্যর্থ তার প্রভাব আজও!
ছবির মূল লক্ষ্য যেসব দর্শক-শ্রোতা, সেই ‘টার্গেট অডিয়েন্স’-এর কাছে সহজে পৌঁছে যেতে পারার শিক্ষা তাঁর বিজ্ঞাপন দুনিয়া থেকেই পাওয়া। জনপ্রিয় বোরোলিনের জিঙ্গল এর নতুন রূপ দিয়েছিল ঋতুপর্ণ। রুক্ষতা, শুষ্কতার অবসান ঘটিয়ে ঋতু লিখল -
 'প্রথম গোঁফের রেখা,
 দাড়ি কাটতে প্রথমবার্‌
 রানিং বাসে নামতে প্রথম আছাড় পথের ধারে।
 এমনি নানা স্মৃতির সাথে জড়িয়ে চিরদিন' ........ এরপর ভি. বালসারার সুরে সেই মারকাটারি লাইন - 'সুরভিত অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রীম বোরোলিন'।
ম্যাজিক নামে গুঁড়ো সাবানের বিজ্ঞাপন যতদূর মনে পড়ে-
"এক ও একমাত্র নায়িকা আপনার গৃহলক্ষ্মী
এক ও একমাত্র নায়ক ম্যাজিক।"
একটি অত্যন্ত জঘন্য বিজ্ঞাপনের কথা মনে করালেন এক বন্ধু, যদিও খুব পুরোনো নয়। ফ্যান্টম এর গেঞ্জি।
"লেডিস হোস্টেলে খালি গায়ে?
খালি কোথায় ফ্যান্টমের গেঞ্জি আছে তো।
--ফ্যান্টম?
হেই মেতেছে আনন্দে
মন জয় করতে
নানা রুপে আজ ফ্যান্টম।
-এটাও তো ফ্যান্টম!
-- (সলজ্জ) আগে বললেই হত।"
দ্বিজেন বন্দ্যোপাধ্যায় এর মত অভিনেতা এটা করতেন!

আমার লেখা শেষ করি ১৯৭০-৭১এর বাংলার অশান্ত-উত্তাল পরিবেশের স্মৃতির বেদনা বুকে নিয়ে তৈরি তপন সিংহের অমর ছায়াছবি 'আপন জন'এর বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত বিমলচন্দ্র ঘোষের রচিত এই কবিতা দিয়ে,

"স্কুল কলেজে খিল,
রাস্তায় মিছিল-
ক্র্যাকারে কাঁপে রাজপথ,
কিনু গোয়ালার গলি,
হিরের টুকরো ছেলেরা সব অশ্বমেধের বলি।
বারুদগন্ধ বুকে নিয়ে আকাশে ফোটে জ্যোৎস্না
ময়লা হাতে ওকে যেন ছুঁসনা।
ওরে মন,পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন।"
এটা ছিল সিনেমার পোস্টারে ব্যবহৃত আমার দেখা একমাত্র জিঙ্গল।

(শেষ)






No comments:

Post a Comment